গতবছর শীতে জীর্ণ ভাঙা টিনের ঘরে সন্তানদের নিয়ে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছিল মনোয়ারা বেগমের। এবছর সরকারি ঘর পেলেও দুশ্চিন্তা ছাড়ছিল না তাকে। বুধবার রাতে মনোয়ারা বেগম যখন ছেঁড়া কাঁথা নিয়ে ঘুমের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ঠিক তখনই আচমকা তার বাড়িতে শীতের কম্বল নিয়ে হাজির হন বাবুগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ আমীনুল ইসলাম। নতুন কম্বল পেয়ে এসময় ঘুমঘুম চোখে অবাক বিস্ময়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মনোয়ারা বেগম।
শুধু মনোয়ারা বেগম একা নন, মধ্যরাতে কম্বল হাতে খোদ ইউএনওকে দরজায় দাঁড়ানো দেখে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অনেক বাসিন্দাই হতভম্ব হয়ে পড়েন। এভাবেই বুধবার রাত ১০টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঘুরে ঘুরে বাবুগঞ্জ উপজেলার উত্তর রহমতপুর, রাজকর এবং ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের বসতঘরে পুনর্বাসিত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে শতাধিক কম্বল বিতরণ করেছেন ইউএনও মোঃ আমীনুল ইসলাম। এসময় তার সঙ্গে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমানসহ উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে শীতের শুরুতেই উন্নতমানের সুদৃশ্য কম্বল পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা। শিশু এবং বয়োবৃদ্ধদের মাঝে দেখা যায় বাড়তি আনন্দোচ্ছ্বাস।
বর্তমানে রাজকর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা নদী ভাঙনে ভূমিহীন ষাটোর্ধ্ব কৃষক আবদুর রহমান বলেন, ‘গত দুই শীতে একখান কোম্বলের লইগ্যা (জন্য) মোগো চেয়ারম্যান-মেম্বারের পিছে পিছে হারাদিন (সারাদিন) ঘুরছি; হ্যারপরেও (তারপরেও) পাই নাই। আর রাত্রিরে ইউএনও স্যারে নিজে বাড়ি আইয়া হগলডিরে (সবাইকে) কোম্বল দিয়া গ্যাছে।’
গণমাধ্যম, ঝালকাঠি, দেশজুড়ে, ধর্ম ও জীবন, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, বরিশাল, বরিশাল বিভাগ, বিনোদন, ভোলা, মেইন লিড, শিক্ষা, শিরোনাম, সাব-লিড, স্বাস্থ্য