পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে পরিবার-পরিজনের জন্য পছন্দের জামা-কাপড় কিনতে প্রখর রোদ ও করোনা ভীতিকে উপেক্ষা করে ক্রেতাদের ঢল নেমেছে বরিশালের মার্কেটগুলোতে। বরিশালের বড় মার্কেট থেকে শুরু করে ফুটপাত পর্যন্ত সর্বত্রই চলছে কেনাকাটার ধুম। প্রচণ্ড ভিড় এবং ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বেশি থাকায় মূল সড়কে তৈরি হয়েছে দীর্ঘ যানজট।শনিবার ১ মে নগরীর চকবাজার, সদর রোড, হাজী মহসীন মার্কেট, বাংলাবাজার, গির্জামহল্লা, ফজলুল হক অ্যাভিনিউ, হাটখোলা এলাকার শপিংমল, মার্কেট, বিপনী বিতানসহ বিভিন্ন দোকানগুলোতে ক্রেতা সাধারণের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কেনাকাটায় ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। অনেকেই মাস্ক না পরে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত না করেই কেনাবেচা করছে। এমনি শিশুদের নিয়েও কেনাকাটা করতে দেখা গেছে।খলিল নামের এক পোশাক ব্যবসায় জানান, স্বাস্থ্যবিধি ক্রেতাদের নিশ্চিত করতে হবে। কেননা আমরা দোকানে বসে মাস্ক পরে দোকানদারি করি। গতবার ঈদে বেচাকেনা করতে পারেনি। তাই সেই লোকসান কাটিয়ে উঠতে এবার আগেই ভাগেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা করছি।বরিশালের সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. মনোয়ার হোসেন জানান, করোনা প্রতিরোধে মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি মানা, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা ও ঘরে থাকার কোন বিকল্প নেই। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হওয়ার জন্য পরামর্শ দেন এই সিভিল সার্জন।এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালের ১০ উপজেলায় কারও করোনা শনাক্ত হয়নি। তবে সিটি এলাকায় ১৬ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। আর একই সময়ে জেলায় করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি।স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে যেকোন সময় আবার আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে।বরিশাল সিভিল সার্জন সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল সিটি এলাকাসহ ১০ উপজেলায় নতুন করে ১৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে শুধু সিটিতেই ১৬ জন। ১৬ জনই নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন।আরও জানা গেছে, নতুন আক্রান্ত ১৬ জন নিয়ে বরিশাল জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৬১৮ জন। এতে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৩২৫ জন। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছেন ১০৯ জন।বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনা ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১ মে) সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন ১৩ জন, এখানে মারা গেছেন ৫ জন (উপসর্গ ও পজিটিভ) আর চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৮৬ জন।এর একদিন আগে এখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৯৭ জন। আর করোনা পজিটিভ ও উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা যান ৮ জন।আরও জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শেবামেকের আরটি পিসিআর ল্যাবে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে ১৪৭ জন নেগেটিভ ও ৩৭ জনের পজিটিভ আসে। যা শনাক্তের হারের ১৯ দশমিক ৬৮ ভাগ।
দেশজুড়ে, বরিশাল, শিরোনাম, সাব-লিড, স্বাস্থ্য