২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে সহিংসতার শিকার হয়ে মোট ৮৬ সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। অর্থাৎ প্রতি চার দিনে একজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের উন্নয়ন’ শীর্ষক এই প্রতিবেদনে গতবারের নিহতের যে সংখ্যা দেওয়া হয়েছে, তা ২০২১ সালের দ্বিগুণের কাছাকাছি, তখন এই সংখ্যা ছিল ৫৫।এই তথ্যকে ‘আশঙ্কাজনক’ আখ্যা দিয়ে ইউনেসকোর মহাপরিচালক অড্রে আজোলে বলেছেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এ ধরনের সহিংসতাকে রুখতে সব সরকারকে অবশ্যই তৎপরতা বাড়াতে হবে এবং অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
কারণ এ ধরনের সহিংস পরিবেশ তৈরির প্রধান কারণই হলো- সরকারগুলোর উদাসীনতা।’ প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ইউনেসকোর এক বিবৃতিতে বলা হয়, হত্যা ছাড়াও ২০২২ সালে সাংবাদিকেরা গুম, অপহরণ, নির্বিচারে আটক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হয়রানিসহ আরও নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হয়েছেন। সাংবাদিকেরা এখন কোথাও নিরাপদ নন। কারণ গত বছর নিহত সাংবাদিকদের প্রায় অর্ধেককেই খবর সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত থাকার সময় হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজনকে ভ্রমণের সময়, কয়েক জনকে পার্কিং লটে বা অন্য কোনো উন্মুক্ত জায়গায় হত্যা করা হয়।ইউনেসকোর বলছে, মানহানি আইন, সাইবার আইন, ও ‘ভুয়া খবর’ বিরোধী আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে বাক স্বাধীনতা সীমিত করা হযেছে এবং সাংবাদিকদের কাজের পরিবেশকে বিষাক্ত করে তোলা হয়েছে। সাংবাদিকদের জন্য ২০২০ সালে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ছিল লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলগুলো। কারণ এই দুই অঞ্চলে এই সময়ে ৪৪টি সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ১৬টি এবং পূর্ব ইউরোপে ১১টি হত্যাকাণ্ড হয়। স্বতন্ত্র দেশ হিসেবে সর্বোচ্চ ১৯টি হত্যাকাণ্ড হয় মেক্সিকোতে। এ ছাড়া ইউক্রেনে ১০টি এবং হাইতি ৯টি হত্যাকাণ্ড হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সংগঠিত অপরাধ, সশস্ত্র সংঘাত বা চরমপন্থার উত্থান নিয়ে প্রতিবেদনের কারণেই সাংবাদিকদের হত্যা করা হয়েছে। এর বাইরে দুর্নীতি, পরিবেশগত অপরাধ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রতিবাদের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ের খবর দেওয়ার জন্যও অনেক সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে তুলে ধরা হযেছে।
আইন-আদালত, আন্তর্জাতিক, গণমাধ্যম, ঝালকাঠি, দেশজুড়ে, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, বরিশাল, বরিশাল বিভাগ, ভোলা, মেইন লিড, লাইভ ভিডিও, শিরোনাম, সাব-লিড