ঝালকাঠিতে সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলনের (৩৮) বিরুদ্ধে দুটি পরিবারের চলাচলের পথ দেওয়াল দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার সকালে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন এ অভিযোগ করেন শহরের ডাক্তারপট্টি এলাকার বাসিন্দা ভুক্তভোগী মঞ্জু বেগম।
তাঁর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জামাতা হাসান মাহামুদ। গত বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঝালকাঠি শহরের ডাক্তারপট্টি এলাকায় পরিবারের চলাচলের একটি গলির পথ দেওয়াল নির্মাণ করে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভুক্তভোগী পরিবার দুটি বিকল্প কোন চলা চলার পথ না থাকায় বাসায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, ঝালকাঠি শহরের ডাক্তারপট্টি এলাকায় ঝালকাঠি মৌজায় এসএ ১২৪ খতিয়ানের রেকর্ডীয় মালিক মালিক মৃত হাবিবুর রহমানের কাছ থেকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন প্রায় পাঁচ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করেন। সেখানে সৈয়দ টাওয়ার নামে একটি পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করেন হাদিসুর রহমান। ভবনের পেছনে অপ রেজ্জেক আলীর ওয়ারিশ দুই মেয়ে অঞ্জু বেগম ও মঞ্জু বেগম পরিবার নিয়ে পৌনে দুই শতাংশ সম্পত্তিতে বসবাস করেন। সেই জমিতে রেজ্জেক আলীর অপর মেয়ে ঝন্টু বেগম ও এক ছেলে মন্টু মিয়ার মালিকানা রয়েছে। এছাড়াও এরপাশে অপর রেকর্ডিও মালিক মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হাসান মাহমুদের দেড় শতাংশ সম্পত্তি রয়েছে। সে অঞ্জু বেগমের মেয়ের জামাতা।
প্রধান সড়কে চলাচলের জন্য তাঁদের প্রায় চার ফুট একটি সড়ক রয়েছে। সেই সড়ক বুধবার রাতের আঁধারে সৈয়দ হাদিসুর রহমানের লোকজন দেওয়াল দিয়ে বন্ধ করে দেয়। ফলে তাঁদের চলাচলের আর বিকল্প কোন পথ না থাকায় ভুক্তভোগী পরিবার দুটি বিপাকে পড়ে। এ ঘটনায় তাঁরা জেলা পুলিশ সুপারের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা বৃহস্পতিবার রাতে সেই দেওয়ালে আশিংক ভেঙে দিয়ে চলাচলের পথ স্বাভাবিক করে দেয়।
এ বিষয়ে অঞ্জু বেগম বলেন, রাতের আঁধারে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ হাদিসুর রহমান দেওয়াল দিয়ে আমাদের চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের কাছে সিসি টিভির ফুটেজ রয়েছে। এই ঘটনায় আমরা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ হাদিসুর রহমান বলেন, আমি রেকর্ডীয় মালিদের কাছ থেকে সাত শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করে ভবন নির্মাণ করেছি। অবশিষ্ট সম্পত্তিতে কিছুদিনের জন্য রেজ্জেক আলীর মেয়েদের মানবিক কারণে থাকতে দিয়েছি। এখন তাঁরা জমি ছাড়তে চায় না। তাই আমি আমার জায়গায় দেওয়াল নির্মাণ করেছি।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, এই ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে আমরা চলাচলের পথ স্বাভাবিক করে দিয়েছি। এছাড়াও বিষয়টা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গণমাধ্যম, ঝালকাঠি, দেশজুড়ে, বরিশাল, বরিশাল বিভাগ, মেইন লিড, রাজনীতি, শিরোনাম, সাব-লিড