কথা রেখেছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত। নৌকার মাঝি জাহিদ ফারুক এর শুভেচ্ছা আয়োজন শেষ হওয়া মাত্রই নগরীর সব ব্যানার পোস্টার ও তোরণ খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নির্দেশনা অনুযায়ী কাজও শুরু করে দিয়েছে সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরা।
শনিবার দুপুরের পরপরই এই ব্যানার পোস্টার ও তোরণ খুলে ফেলার কাজ শুরু হয় নগরীতে। সরেজমিনে নগরভবন এলাকার কালেক্টর পুকুর ও বিবির পুকুর পাড়ের সব বিলবোর্ড ও ব্যানার পোস্টার সরিয়ে ফেলে তা পরিচ্ছন্ন করতে দেখা গেছে। এতে খুশি নগরবাসী। সাংস্কৃতিক জন মুকুল দাস, তপংকর চক্রবর্তী, শুভংকর চক্রবর্তী সহ সকলেই মেয়র এর এই উদ্যোগের প্রশংসা করলেন। বরিশাল সাহিত্য সংসদ বসাস এর প্রধান উপদেষ্টা সাংবাদিক ও সাহিত্যিক অরূপ তালুকদার বললেন, আজই ঢাকা থেকে এসেছি। বিকেলে হাঁটতে হাঁটতে এই বিবির পুকুর পাড়ে এলাম। খুবই ভালো লাগছে এই মুহূর্তে।
অরূপ তালুকদার আরো বলেন, এরকম ৫৮ বর্গকিলোমিটার সিটি করপোরেশন এলাকার সব অপ্রয়োজনীয় বিলবোর্ড গুলো সরিয়ে দিতে হবে। একইসাথে নগরীর স্কুল কলেজের গেটে কোনো রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক ব্যানার পোস্টার না ঝুলানো নির্দেশনা দিলে চমৎকার কাজ করা হবে বলে জানান তিনি।
প্রায় একইকথা বলেন বসাস সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কেএসএ মহিউদ্দিন মানিক বীরপ্রতীক। তিনি বলেন, জেলা স্কুলের সামনে সড়কের ব্যানার পোস্টার ও তোরণ খুলতে দেখেছি। বড় বড় বিলবোর্ড গুলোও খুলে নেয়া হচ্ছে। এটা খুব সম্ভব নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে হচ্ছে। তবে নগর পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত আমাদের শেষ ভরসা। আশাকরি তিনি দ্রুত নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কার করবেন।
ইতিমধ্যেই মহাসড়কের রূপাতলী ও কাশিপুর অংশের সব তোরণ খুলে ফেলা হয়েছে বলে জানালেন সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার বলেন, গত ১৪ নভেম্বর মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই নগরী পরিচ্ছন্ন করতে কঠিন নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। তবে বিলবোর্ড ও ব্যানার তোরণ খুলে ফেলার নির্দেশ নির্বাচন কমিশন থেকে এসেছে। যদিও আমাদের পরিচ্ছন্নতার ধারাবাহিকতায় আগামী দু একমাসের মধ্যেই নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ সবকিছু সুন্দর হবে ইনশাআল্লাহ। আমাদের মেয়র বরিশালের সাধারণ মানুষের বন্ধু। তাদের সমস্যাকেই আগে গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে জানান মাসুমা আক্তার।