কুয়াশার চাদরে মোড়া চুয়াডাঙ্গার আকাশ। হিম শীতল বাতাসে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সূর্যের দেখা মিলছে না দুপুর পর্যন্ত। মানুষের চলাচল কম শীতের কারণে। দিনমজুর আর খেটে খাওয়া মানুষগুলো বেশি বিড়ম্বনায় পড়েছেন।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭ শতাংশ। ঘন কুয়াশা ও শীতল বাতাসের কারণে সূর্যের দেখা সহজে মিলছে না। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রকিবুল ইসলাম বলেন, ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে চুয়াডাঙ্গায়। সূর্যের দেখা মিলছে না দুপুর পর্যন্ত। তাপমাত্রা হ্রাস পাচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭ শতাংশ। আরও কয়েক দিন ঠান্ডা আবহাওয়া অব্যাহত থাকবে জেলায়। শীতের তীব্রতা বাড়ায় সাধারণ মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। শীতে গরম কাপড় পরিধান করলেও শরীরে শীত অনুভূত হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকি গ্রামের ভ্যানচালক হারেজ মণ্ডল বলেন, শীতের কারণে মানুষ বাইরে তেমন একটা বের হচ্ছেন না। মানুষ না থাকায় ভাড়া হচ্ছে না। বাজারের টাকা না হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে কয়েক দিন ধরে কষ্টে আছি।জীবননগর উপজেলার বাঁকা গ্রামের দিনমজুর হাসমত আলি বলেন, কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসের কারণে মাঠে কাজ করা কঠিন। হাত পা ঠান্ডায় বরফ হয়ে যাচ্ছে। গরিব মানুষ কাজ না করলে তো চলবে না। দামুড়হুদা হেমায়তপুর গ্রামের বৃদ্ধ নাজিম বিশ্বাস বলেন, কয়দিন খুব শীত পড়ছে; বেশ কষ্টও হচ্ছে। রাতে শীতটা বেশি লাগছে। এ বছর একটাও কম্বল পাইনি। কম্বল পেলে খুব ভালো হত।