চৈত্রের ভ্যাপসা গরম আর ঘন ঘন বিদ্যুৎ-বিভ্রাটে বরিশাল নগরীতে অসহনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এই গরমের সময় পবিত্র রমজান মাসে মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরীর বাসিন্দারা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে নগরীর বাংলাবাজার, নিউ হাউজ রোড, বটতলাসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিহীন থাকতে হয় বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এসব কারণে চরম দুর্ভোগের কথা জানান তারা।
নগরীর চৌমাথা এলাকার বাসিন্দা ইব্রাহিম হোসেন বলেন, গত ২-৩ দিন ধরে প্রতি ঘণ্টায় লোডশেডিং হচ্ছে। এমনকি ইফতার এবং সেহরির সময়ও লোডশেডিং হওয়ায় চরম বিপাকে আছি।
নগরীর সাগরদী ধানগবেষণা সড়কের বাসিন্দা গৃহবধূ মহিমা আক্তার বলেন, একদিকে তীব্র গরম অন্যদিকে যোগ হয়েছে লোডশেডিং।
দিনের একবার বিদ্যুৎ গেলে এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় লাগে আসতে। রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় ঠিকমতো ঘুমাতে পারি না।
ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে বিপাকে আছেন ব্যবসায়ীরাও। ঈদবাজারের এই সময়ে লোডশেডিংয়ের কারণে ঈদের কেনাকাটায় লোকজন গরমের জন্য দিনের বেলা মার্কেটে আসছেন কম।
নগরীর অভিজাত একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বিক্রেতা আব্দুর রহমান রিপন বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে চরম বিপাকে পড়েছি। এ অবস্থায় দিনে জেনারেটর চালিয়ে ব্যবসা করে আয় করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
তীব্র গরমের কারণে বেলা গড়াতে নগরীর প্রধান সড়কগুলোর বেশির ভাগে মানুষের ভিড় কম লক্ষ করা গেছে। আর দুপুরে অনেকটাই ফাঁকা ছিল নগরীর আদালতপাড়া, সদর রোড, টাউন হলসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
ঘনঘন লোডশেডিং প্রসঙ্গে বরিশাল বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী গোলাম মো. মহসীন মোল্লা জানান, সোমবার রূপাতলী সাবস্টেশনের ব্রেকার পুড়ে যাওয়ায় সোমবার সকাল থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নগরীর সব এলাকায় বিদ্যুৎ-বিভ্রাট দেখা দেয়।
তিনি বলেন, ঈদের সময় পুরো রাতই বিপণিবিতানগুলো খোলা থাকে। এতে চাহিদাও বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। যার কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। আশা করছি, দ্রæত এর একটা সমাধান হবে।