স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই। কিন্তু বয়স যখন বাড়তির দিকে, তখন স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের বিকল্প নেই। সাধারণত বয়স ৩৫ হলেই খাবার নির্বাচনে থাকতে হবে সতর্ক। এ সময় শরীরে দরকার এমন সব খাবার, যা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, সারা দিনের শক্তি জোগাবে আবার যেকোনো ধরনের শারীরিক সমস্যারও সমাধান হবে।তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে ডায়েট করা বা খাবার কমিয়ে দেওয়ার কিন্তু কোনো সম্পর্ক নেই। এমনটাই বলেন পুষ্টিবিদেরা। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যতালিকায় সতেজ ও স্বাস্থ্যকর খাবার যোগ করাই বুদ্ধির কাজ।৩৫ বছরের পরই খাবারে আঁশের পরিমাণ বাড়াতে হবে। যার মধ্যে থাকতে পারে ফল, সবজি, ওটস, বাদাম ও শাপলাজাতীয় খাবার। শরীরের কোলেস্টেরল কমাতে, ব্লাড সুগারের মাত্রা ঠিক রাখতে এবং বয়স অনুসারে ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করবে আঁশজাতীয় খাবার। বয়স বাড়তে থাকলে নারীদের দিনে ২১ গ্রাম ও পুরুষদের ৩১ গ্রাম আঁশজাতীয় খাবার খাওয়া উচিত।শস্যদানাযুক্ত খাবার বা হোল গ্রেইনে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ও আঁশ। এ ধরনের খাবার মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস ও ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। হোল গ্রেইন জাতীয় খাবার এসব অসুখের সম্ভাবনা কমায়।পেস্তা, কাঠ, কাজু বা চিনা যেকোনো ধরনের বাদামেই অ্যান্টি–এজিং ক্ষমতা থাকে। বয়স বাড়াজনিত অসুখ যেমন হার্টের সমস্যা, স্ট্রোক, টাইপ–২ ডায়াবেটিস, মস্তিষ্কের সমস্যা এবং কিছু কিছু ক্যানসারের সম্ভাবনা কমায় বাদাম।ব বয়সের জন্যই মাছ একটি আদর্শ খাবার। শরীরের প্রোটিনের অন্যতম উৎস হলো মাছ। কিন্তু বয়স যখন বাড়ছে, তখন অন্য মাছের সঙ্গে রাখতে হবে স্যামন, টুনা বা যেকোনো সামুদ্রিক মাছ। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সপ্তাহে দুই দিন অবশ্যই এ ধরনের মাছ খাওয়া উচিত। সামুদ্রিক মাছে থাকে ওমেগা থ্রি, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। বয়স বাড়তে থাকলে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে চাইলে খাদ্যতালিকায় মাছ রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রোটিন মানেই যে চর্বিতে পরিপূর্ণ, তা নয়। কিছু খাবার আছে যা প্রোটিনে সমৃদ্ধ, কিন্তু চর্বি নেই বললেই চলে। যেমন ডিম, চর্বি ছাড়া মাংস ও ডেইরি খাবার যাতে প্রোটিন পাউডার থাকে না।তরমুজ, আম, স্ট্রবেরি, টমেটো, ক্যাপসিকাম, পাকা পেঁপে ইত্যাদি ফল ও সবজিতে লাইকোপিন নামের প্রাকৃতিক উপাদান থাকে। গবেষণা বলে, লাল ও কমলা রঙের ফল ও সবজি ক্যানসার এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি থেকে সুরক্ষিত রাখে।কপিজাতীয় খাবারের মধ্যে পড়ে ফুলকপি, ব্রকলি, সবুজ বাঁধাকপি ও বেগুনি বাঁধাকপি। সময়ের সঙ্গে বয়স বাড়ে কিন্তু শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে। কপিজাতীয় খাবারগুলো বয়স বাড়লেও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ধরে রাখে। এ ছাড়া ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতেও দারুণ কপিজাতীয় খাবার।দেশি খাবার মিষ্টি আলুর গুণাগুণ অনেকেই হয়তো জানেন না। বিটা ক্যারোটিন ও ভিটামিন এ–তে পরিপূর্ণ মিষ্টি আলু। বয়স বাড়তে থাকলে চোখ ও ত্বকের অনেক সমস্যা বাড়ে, যা কমাতে সাহায্য করে মিষ্টি আলু। একটি মিষ্টি আলু থেকে ব্রকলির সমান ভিটামিন এ পাওয়া যায়। এ ছাড়া মস্তিষ্কের জন্যও মিষ্টি আলু অতুলনীয়।দেশি খাবার মিষ্টি আলুর গুণাগুণ অনেকেই হয়তো জানেন না। বিটা ক্যারোটিন ও ভিটামিন এ–তে পরিপূর্ণ মিষ্টি আলু। বয়স বাড়তে থাকলে চোখ ও ত্বকের অনেক সমস্যা বাড়ে, যা কমাতে সাহায্য করে মিষ্টি আলু। একটি মিষ্টি আলু থেকে ব্রকলির সমান ভিটামিন এ পাওয়া যায়। এ ছাড়া মস্তিষ্কের জন্যও মিষ্টি আলু অতুলনীয়।