বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রোগীর স্বজন, বন্ধু ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বিকেলে ৪টার দিকে হাসপাতালের চতুর্থ তলার সার্জারী ১ ইউনিটে এই সংঘাতের ঘটনা ঘটে। এসময় হাসপাতালের বেশকিছু আসবাবপত্র ভাঙচুর করাসহ মেয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের লাঞ্ছিতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ গিয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে এবং ঘটনাস্থল থেকে মৃত রোগীর সহপাঠি শাওন ও আনোয়ারকে আটক করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল ইসলামিয়া কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ও ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়ার মহিষকান্দি এলাকার আনসার আলীর ছেলে রিয়াদুল ইসলাম রিয়াদ মোটরসাইকেলে দুই বন্ধু বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের বুখাইনগর এলাকার বাসিন্দা হৃদয় এবং ওসমান গনিকে নিয়ে তালতলী বাজারের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কাউনিয়া থানাধীন মহাবাজ এলাকায় মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে গুরুতর আহত তিন বন্ধুকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারী ১ ইউনিটে ভর্তি করে। বেলা আড়াইটার দিকে রিয়াদের মৃত্যু হলে স্বজনেরা চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগ তোলেন। এনিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সাথে তারা বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন এবং একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রুপ নেয়। রিয়াদের স্বজন মাসুদ ও তনু অভিযোগ করেনÑ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা একজন একজন করে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। এসময় আমরা বারবার বলছিলাম রিয়াদের অবস্থা বেশি খারাপ। কিন্তু তারা সেই কথা শোনেনি। রিয়াদ চিকিৎসা অবহেলায় মৃত্যুবরণ করে। এরপর রিয়াদের বন্ধুদের সাথে ইন্টার্নদের হাতাহাতি হয়। এর কিছুক্ষণ পর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা এসে কান্নারত রোগীর স্বজনদের ওপর হামলা চালায় এবং ব্যাপক মারধর শুরু করে।
আইন-আদালত, গণমাধ্যম, ঝালকাঠি, দেশজুড়ে, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, বরিশাল, বরিশাল বিভাগ, ভোলা, মেইন লিড, শিরোনাম, সাব-লিড, স্বাস্থ্য