বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠী ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফয়সাল ওয়াহিদ মুন্না তালুকদারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বুধবার (১২ অক্টোবর) বরিশালের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক জহির উদ্দিন আসামিদের বিরুদ্ধে এ গ্রেপ্তারি পরোয়না জারি করেন। সত্যতা নিশ্চিত করে আদালতের জিআরও জাকির হোসেন। তিনি জানান, কলসকাঠীর হেলাল খন্দকারের মামলায় বিজ্ঞ বিচারক ফয়সাল ওয়াহিদ মুন্না তালুকদারসহ ৬ জনের নামে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী করেছেন। আদালত সুত্র জানাযায়, উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নের উপ-নির্বাচনকালীন ২০২১ সালের মার্চ মাসে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ ফয়সাল ওয়াহিদ মুন্না তালুকদারের নেতৃত্বে তার প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াদুদ খন্দকার টিটুর নারাঙ্গল গ্রামের বাড়িতে ও মসজিদে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় তার চাচাতো ভাই মো. হেলাল খন্দকার বাদী হয়ে ১০ জন নামধারীসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করে বাকেরগঞ্জ থানায় ২০২১ সালের ২৩ মার্চ একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির এস আই বেলায়েত হোসেন ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলার বাদি মো. হেলাল খন্দকার এ অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি দাখিল করলে বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য জেলা পিবিআইকে নির্দেশ দেয়। বরিশাল জেলা পিবিআই’র উপ-পুলিশ পরিদর্শক প্রলয় কান্তি দাস অধিকতর তদন্ত শেষে ১ অক্টোবর হামলা ও ভাংচুরের হুকুমদাতা ফয়সাল ওয়াহিদ মুন্না তালুকদারসহ আরও ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করেন। বুধবার ছিল ওই মামলার ধার্য তারিখ ছিল। এ দিন আদালতে অভিযুক্তরা উপস্থিত না থাকায় আদালতের বিচারক প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে কলসকাঠী ইউপি চেয়ারম্যান ফয়সাল ওয়াহিদ মুন্না তালুকদারসহ ৬ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী করেন।
গণমাধ্যম, ঝালকাঠি, দেশজুড়ে, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, বরিশাল, বরিশাল বিভাগ, ভোলা, মেইন লিড, শিরোনাম, সাব-লিড