ঝালকাঠিতে অনাবৃষ্টি ও গরমে অস্বস্তিতে সাধারণ মানুষ। গতকাল সোমবার ঝালকাঠিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা চলতি বছরের মধ্যে রেকর্ড। এদিকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নাই। আগামী বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকবে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়। আগামী ৭ দিন তাপমাত্রা এভাবে অব্যাহত থাকবে। এদিকে গত কয়েক দিনের গরমে হাসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। গরম থেকে বাঁচতে চিকিৎসকরা পানি ও তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রায় অঞ্চলেই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। গত কয়েকদিন ধরেই ঝালকাঠিতে গরমে নাভিশ্বাস অবস্থা মানুষের। একদিকে রোজায় শরীর শুস্ক, অন্যদিকে ঈদের কেনাকাটা ও রাস্তাঘাটে জ্যাম মিলে বাতাসের উত্তাপ যেন আরও কয়েক গুন বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে কষ্টকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে জনজীবনে। ঝালকাঠির রাস্তার পাশে ভ্যানে সবজি বিক্রেতা রহিম জানান, সকাল ১০ টার পর রোদের তাপে রাস্তায় দাঁড়াতে পারছি না। ঘামে শরীর ভিজে যায়। পেটের তাগিদে অসহনীয় গরমের মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, লঘু চাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিম বঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আগামী ২৪ ঘন্টার পূর্বাভাসে বলা হয় আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা যায় না ।আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, আগামী ৬/৭ দিন বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। ফলে এই গরম অব্যাহত থাকতে পারে আগামী ৬দিন। এছাড়াও ঋতু পরিবর্তনের এই সময় ছিটেপোটা বৃষ্টি নাই। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়িাস এবং ঢাকায় ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।ঝালকাঠির তরমুজ চাষীরা গরমে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তরমুজ ক্ষেতে পানি সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছে। বৃষ্টি না থাকায় তরমুজের ফলন ভালো হচ্ছে না। প্রখর রোদে তরমুজ মাঠে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। রোদের তাপে কৃষকরা মাঠে কাজ করতে পারছে না।
ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা: জহিরুল ইসলাম বলেন, ইফতারীর পর প্রচুর পরিমানে পানি পান, বাইরে কম বের হওয়া এবং যথাসম্ভব ঘরের মধ্যে থাকার চেষ্টা করতে হবে।