আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বরিশালে আওয়ামী লীগে অভ্যন্তরীন কোন দ্বন্দ্ব নেই। কিন্তু নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা রয়েছে। সেই প্রতিযোগিতা না থাকলে তা জনবস্তুতে পরিণত হয়। মাল্টি কালার দল হিসেবে আর এ নেতৃত্বকে সকলকে স্বাগত জানানো উচিত। দলের মধ্যে কোন ধরনের বিভেদ নেই বলে দাবি করলেন তিনি। নানক আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত। ১৫ আগষ্টে গুলিবিদ্ধ খোকন সেরনিয়াবাতকে আগামী ১২ জুন ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। তিনি নির্বাচিত হাওয়ার সাথে সাথে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে এত বরাদ্দ আসবে তা দিয়ে উন্নয়ন কাজ করার জায়গা পাবেন না। যা প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন খোকন নির্বাচিত হলে বরিশালকে তিলোত্তমা নগরীতে পরিণত করা হবে। আশা করছি আপনারা প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন। একই সাথে বরিশালের উন্নয়নে সহযোগিতা করবেন। বরিশাল সদর আসনের এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কর্নেল অব: জাহিদ ফারুক শামীম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতকে মেয়র নির্বাচিত করতে পারলে গত ৫ বছর নগরবাসী যে সকল সমস্যায় ছিলেন তা দূর হবে। নগরীতে শান্তি ও সমৃদ্দি চান তাহলে খোকন সেরনিয়াবাতকে নির্বাচিত করতে হবে। খোকন সেরনিয়াবাত নির্বাচিত হওয়ার সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দে উন্নয়নের জোয়ার বইবে।
মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত বলেছেন, আমার বাবা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দেশ ও দক্ষিনাঞ্চলের উন্নয়নে কাজ করেছেন। আমি তার সন্তান হিসেবে আপনাদের সেবা করতে চাই। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে মুখ থুবরে পড়া বিধ্বস্ত বরিশালকে তিলোত্তমা নতুন বরিশাল উপহার দেব। আমি আপনাদের কষ্ট বেদনার কথা জানি, বরিশাল নগরীকে আধুনিক নগরীতে পরিনত করবো। আমি বরিশালকে নতুন শান্তিময় নগরীতে পরিনত করবো। আমি বেঁচে থাকতে নগরীতে কোন অন্যায়, অনিয়ম ও অপরাধ হতে দেব না। এটা আমার অঙ্গীকার। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, সিটি কর্পোরেশনের যত সেবা আছে তা নিশ্চিত করা হবে। কোন ধরনের পক্ষপাতিত্ব আমার দ্বারা হবে না। আমি নিয়ম নীতি ছাড়া কিছুই বুঝি না। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কেএম জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আ.ফ.ম. বাহাউদ্দিন নাসিম, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আফজাল হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. আফজালুল করিম, সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস, মহানগর যুবলীগের আহবায়ক নিজামুল ইসলাম নিজাম, যুগ্ম আহবায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন, শাহীন সিকদার, আওয়ামী লীগ নেতা মীর আমিনউদ্দিন মোহন, কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম খোকন, জিয়াউর রহমান বিপ্লব, এনামুল হক বাহার, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম দেওয়ান, এ্যাড. মাহাবুবুর রহমান মধু প্রমুখ।এর পূর্বে রহমতপুর ব্রিজের ঢালে সহস্রাধিক মোটরসাইকেলে সাথে যুুক্ত হন ঢাকা থেকে বিশাল গাড়ি বহর নিয়ে আসা মেয়র প্রার্থীর গাড়ির বহর। গাড়ির বহরের নেতৃত্ব দেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। নগরীর প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ফুলেল শুভেচ্ছা অভিনন্দন জানিয়ে ২০/২৫ হাজার নেতাকর্মীরা দলীয় মনোনীত প্রার্থীকে বরণ করে নেন। গড়িয়ার পাড় এলাকা থেকে শুরু করে কাশীপুর বাজার, নথুল্লাবাদবাস কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, বিএম কলেজ, হাসপাতাল রোড, জেলখানার মোড় হয়ে সদররোড ঘুরে বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাত কে বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ব্যানারে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম এমপির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ দলীয় মনোনীত প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতকে ফুলেল শুভেচ্ছা অভিনন্দন জানিয়ে বরণ করা হয়। এরপর বরিশাল মহানগর আওয়ামী যুবলীগ এর আহবায়ক নিজামুল ইসলাম নিজামের নেতৃত্বে বরিশাল মহানগর যুবলীগের নেতৃবৃন্দরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সহ দলীয় মনোনীত প্রার্থী বরিশাল নগরীর সদররোডস্থ সোহেল চত্বরে পৌছানো মাত্রই তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা অভিনন্দন জানিয়ে বরণ করে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ বরিশাল মহানগর এর যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব মাহমুদুল হক খান মামুন। এরপর বরন ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে একে একে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত কাউন্সিলর, বিএম কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক ভিপি মঈন তুষার, মহানগর ছাত্রলীগ এর সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন সহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ। আগত নেতৃবৃন্দ সহ খোকন সেরনিয়াবাত কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরন করেন।