বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের সঙ্গে সদর উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা শেষে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঠেলাঠেলির ঘটনা ঘটেছে।ছবি ধারণ করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়তে হয় বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরাপারসন ও পত্রিকার ফটো সাংবাদিকদের।ওই সময় বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ ওঠেছে ওইসব আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে।বুধবার (১৭ মে) সন্ধ্যার পর মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহামুদুল হক খান মামুনের বাসভবনে এই ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নৌকার প্রার্থীর মতবিনিময় সভা শেষে প্যাকেট বিতরণ ও বক্তব্য দেওয়া নিয়ে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুখের দুই অনুসারী জেলা পরিষদের সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জোবায়ের আব্দুল্লাহ জিন্নাহ দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। এরপর দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এই ঘটনার ভিডিও ও স্থিরচিত্র ধারণ করতে গেলে সাংবাদিকদের বাঁধা দিয়ে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন ওই দুইজনের সমর্থকেরা। পরে সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এশিয়ান টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন আজিম শরীফ বলেন, হাতাহাতির ঘটনার ছবি ধারণ করতে গেলে ছাত্রলীগের লোকজন আমাদের ক্যামেরার ওপর হামলা করে। এ নিয়ে ধস্তাধস্তিও হয় আমাদের সঙ্গে। এক পর্যায়ে আমিসহ আমাদের প্রায় ৩০/৩৫ জন সহকর্মীকে একটি রুমের মধ্যে আটকে রাখা হয়। পরে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা এসে আমাদের মুক্ত করেন।
এছাড়া বাইরে থাকা সাংবাদিকদের ক্যামেরায় হাত দিয়েও ছবি তুলতে বাঁধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান চিত্র সাংবাদিক রাসেল।আওয়ামী লীগ নেতারা জানায়, নৌকার প্রার্থীকে বিব্রত করতে এই ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে ওই দুইটি পক্ষ।এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জোবায়ের আব্দুল্লাহ জিন্নাহ বলেন, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে, আর কিছুই না। মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহামুদুল হক খান মামুন জানান, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। পরে বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে।
গণমাধ্যম, ঝালকাঠি, দেশজুড়ে, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, বরিশাল, বরিশাল বিভাগ, ভোলা, মেইন লিড, রাজনীতি, শিক্ষা, শিরোনাম, সাব-লিড