‘চোখের সীমানার ওপাড় থেকে একদিন
একটি নীল পাখি উড়ে এসে ছুঁয়েছিলো অধর
ছুঁয়েছিলো সমুদ্রের কোলাহল বোবা ঢেউয়ের
স্বপ্নের বাঁধভাঙা স্রোতে ভেসেছিলো বহুদূর।
বহুরূপী সেই পাখি কত কথা বলেছিলো সুরে
কত ব্যথা ব্যাকুলতায় নিয়েছিলো সে চিনে!
বোঝেনি তখন এই ব্যাকুল মন পাখির ছলনা
উড়ে চলে যাবে সে নিজ আকাশে খুঁজে ঠিকানা।
পাখি চলে গেছে পিছনে ঝরিয়ে একটি পালক
যদিও ডানায় আজও তার শত পালকের ঝলক
আমার সে পাখি, দিয়েছে ফাঁকি চায়নি পিছু ফিরে
নিঃসঙ্গ বিকেল নিস্তব্ধ প্রহর পালকটি শূন্য নীড়ে।
একা একা হাসে দূরে চেয়ে দেখে পাখির উড়ে চলা
কত ব্যথা বুকে চেপে রেখে ঠিকঠাক জীবনের কথা বলা!
কোনো পিছুটান নেই আর আজ, জীবন ছন্দহীন
ভালোবাসাবাসি, পাখির গল্প সবকিছুই রঙহীন।
পাখি উড়ে গেছে আসার আগেই চোখে ছলনার জলে
বেঁধেছিলো কিছু স্মৃতির মায়ায় স্বার্থের কোলাহলে
তবুও কেমন ভালো লাগে আজ ঘোর কাটা সুখে
অর্ফিয়ূসের মোহন বাঁশি কানে ভাসে দূর থেকে।
“”বাংলাদেশ নারী পুলিশ পেইজ থেকে সংগ্রহীত””