ঈদ পরবর্তী করোনা সংক্রমণের ঝুকি এড়াতে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ বা ‘লকডাউন’ বাড়ানো হয়েছে। আজ ১৭ মে থেকে বর্ধিত সময়ের লকডাউন শুরু হবে। এরি মধ্যে রোববার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।এদিকে, সরকারের কঠোর ‘লকডাউন’ বাস্তবায়নে এরি মধ্যে মাঠে নেমেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং জেলা প্রশাসন। রোববার সকালের পর থেকেই তারা প্রাথমিকভাবে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছেন। জেলা প্রশাসন কর্তৃক মোবাইল কোর্ট অভিযানের পাশাপাশি সকল বিনোদন কেন্দ্রে পুলিশি চেক পোস্ট বসিয়েয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশ।রবিবার বিকালের পর পরই মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালী মডেল থানার অধিনস্ত বঙ্গবন্ধু উদ্যান, ত্রিশ গোডাউন কীর্তনখোলা নদীর তীরে, মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতু, মুক্তিযোদ্ধা কাঞ্চন পার্কসহ অন্যান্য বোনাদন কেন্দ্রগুলোর প্রবেশ পথে পুলিশের চোক পোস্ট বসিয়ে দর্শনার্থীদের প্রবেশে বাধা দিতে দেখা গেছে।বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘১৭ মে থেকে কঠোর লকডাউন এক সপ্তাহের জন্য বৃদ্ধি করেছে সরকার।
সরকারের সেই লকডাউন কার্যকর করতেই মহানগরীর সকল বিনোদন কেন্দ্র, লেকের পাড় এবং পার্কগুলোতে পুলিশি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।তিনি বলেন, ‘চেক পোস্টে দায়েত্বরত পুলিশ সদস্যরা বিনোদন কেন্দ্রে আসা দর্শনার্থীদের প্রবেশে বাধা এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে উৎসাহিত করবে। কেউ সরকারের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্ধিত মেয়াদের ‘লকডাউন’ এর সময়ের শেষ পর্যন্ত পুলিশের এই চেক পোস্ট অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ওসি নরুল ইসলাম।অপরদিকে, ‘রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার পর স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়ন এবং জনগণকে মাস্ক পড়তে বাধ্য করতে মোবাইল কোর্ট অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। অভিযানের প্রথম দিনেই ১১ ব্যক্তি এবং ১৩টি প্রতিষ্ঠানকে আড়াই হাজার টাকা জরিমানা করেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী সুজার ভ্রাম্যমান আদালত। এই অভিযানে সহযোগিতা করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী সুজা।
দেশজুড়ে, শিরোনাম, সাব-লিড, স্বাস্থ্য