বরিশালের শহীদ অ্যাডভোকেট আবদুর রব সেরনিয়াবাত আইন মহাবিদ্যালয়ের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মোস্তফা জামাল খোকনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করা হয়েছে।
আইন মহাবিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী এবং বরিশালের সর্বস্তরের জনগণের পৃথক ব্যানারে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন আবুল ফারুক, মেহেদি হাসান, রুম্মান, জামাল সরদারসহ আইন মহাবিদ্যালয়ের সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। এতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, আনোয়ার হোসেন ২০২২ সালে কৌশলে ৬৭ বছরের পুরোনো শহীদ অ্যাডভোকেট আবদুর রব সেরনিয়াবাত আইন মহাবিদ্যালয়ের সভাপতি হন। এরপর তারই পরিচিতজন মোস্তফা জামান খোকনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদে বসানো হয়। তারা দায়িত্বের সুবাদে কলেজের ফান্ডের অর্থ বিভিন্নভাবে খরচের পাঁয়তারা করেই চলছেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ, মৌখিক পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়া, নিয়োগে অনৈতিক সুবিধা দেওয়া-নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। এসময় আয়োজকরা লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গত কয়েক বছরে আইন মহাবিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন।
বক্তারা আইন মহাবিদ্যালয়ে অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগ, টাকা উত্তোলন ও আত্মসাতের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন, সেইসঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদ ও বিচার দাবি করেন। বরিশালের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা দাবি করেছেন, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বিএম কলেজের সাবেক ভিপি আনোয়ার হোসেন সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন। তাই তাকে বহিষ্কার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
গত ৯ জানুয়ারি রাতে শহীদ অ্যাডভোকেট আবদুর রব সেরনিয়াবাত আইন মহাবিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মারধরের শিকার হন আনোয়ার হোসেন। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে লাঞ্ছনার শিকার হন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোস্তফা জামান খোকন। যে ঘটনায় আরিফুর রহমান অপু, আজিমসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলাও হয়। মামলায় উল্লেখ করা হয়, চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ওই হামলার ঘটনা। তবে আরিফুর রহমান অপু জানিয়েছেন, নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলাটি করা হয়েছে। অপু দাবি করেন, আইন মহাবিদ্যালয়ের পরিচালনার দায়িত্বে সবসময় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ছিলেন। কিন্তু আনোয়ার হোসেন কৌশলে আইন মহাবিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির পদটি বাগিয়ে নেন। তার শুরু থেকে এ পর্যন্ত সব কর্মকাণ্ড তদন্ত করে দেখা হোক। এতে নিয়োগ থেকে শুরু করে আর্থিক সংশ্লিষ্টতার প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও জালিয়াতি খুঁজে পাওয়া যাবে।
গণমাধ্যম, দেশজুড়ে, বরিশাল বিভাগ, মেইন লিড, শিক্ষা, শিরোনাম, সাব-লিড