ভ্রমণপিপাসু হাজার হাজার পর্যটক সাপ্তাহিক ছুটিতে এসেছেন সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটায়। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দীর্ঘদিন পর্যটকশূন্যতার পর হঠাৎ ভিড় বেড়েছে এই সৈকতে।
তীব্র শীত উপেক্ষা করে আসা এসব পর্যটক ১৮ কিলোমিটার সৈকত ও এখানকার দর্শনীয় স্থানে ঘুরছেন। সমুদ্রের নোনা জলে গা ভাসিয়ে উল্লাসে মেতেছেন অনেকেই। অধিকাংশ হোটেল-মোটেলের কক্ষ ইতোমধ্যে বুকিং হয়ে গেছে। বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
পর্যটকরা সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত অবলোকন করছেন। ছুটে যাচ্ছেন রাখাইনদের আদি কুয়া অথবা রাখাইন পল্লিতে। কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন স্থানে রয়েছে নজরকাড়া প্যাগোডা। এই প্যাগোডা তথা শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধবিহার সংলগ্ন বেড়িবাঁধের পাশে রয়েছে দুশো বছরের পুরনো নৌকা। রয়েছে রাখাইন নারী মার্কেট। মিশ্রিপাড়ার এশিয়ার সর্ববৃহৎ সীমা বৌদ্ধ বিহার, ইকোপার্ক, লেম্বুরচর, শুঁটকিপল্লি, সমুদ্রপথে চর বিজয়, ফকিরহাটসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় স্থানে ভিড় বাড়ছে।
ঢাকা থেকে আসা হাবিবুর রহমান রানা বলেন, একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত উপভোগ করা যায় একমাত্র কুয়াকাটায়, যা অনেক ভালো লাগে।
কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল সী প্যালেসের ব্যবস্থাপক রুবেল বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আমরা এ বছর তেমন পর্যটক আসেননি। সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষে আমাদের হোটেলের সব রুম বুকিং হয়ে গেছে। অন্যান্য হোটেলেও বেশ পর্যটক রয়েছেন।
সৈকতে বেঞ্চ ব্যবসায়ী আবদুস সোবহান বলেন, এ বছরে আজই বেশি পর্যটকের আগমন ঘটেছে। এভাবে পর্যটক আসলে আমরা লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবো। ঢাকা থেকে আসা পর্যটক রিমন বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা কমে যাওয়ায় পর্যটক বেড়েছে। তবে শীত কমলে আরও বাড়বে।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, ‘এ বছরে আজ ভালো পর্যটকের আগমন ঘটেছে। অধিকাংশ হোটেলে রুম বুকিং রয়েছে।’
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, ‘আমরা সর্বদা নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছি। এ ছাড়াও কুয়াকাটার বিভিন্ন স্পটে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
গণমাধ্যম, দেশজুড়ে, পটুয়াখালী, বরিশাল বিভাগ, বিনোদন, মেইন লিড, শিরোনাম, সাব-লিড