নগরীর বটতলা বাজারে কসাইয়ের দোকানের কর্মচারীর বিরুদ্ধে কুকুর জবাইর করার অভিযোগ উঠেছে। রোববার বেলা ১২ টার দিকে বাজারে থাকা একটি কুকুর জবাই করা হয় বলে অভিযোগ করেন এ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অব বরিশালের সমন্বয়ক তুবা নাহার। সে জানায়, বটতলা বাজারে মাংস বিক্রেতা দোকানের কর্মচারী রায়হান মোল্লা একটি কুকুর জবাই করে। এ সময় কুকুরটি ছুটে গিয়ে নগরীর বটতলা এলাকার হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিপরীতে একটি গলিতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে সেটাকে স্থানীয়রা চিকিৎসা দিয়েও বাঁচাতে পারেনি। ঘটনার পর তারা গিয়ে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন। এরআগেই কুকুর জবাই করা রায়হান পালিয়ে গেছে। তুবার ধারনা কুকুরের মাংস বিক্রির জন্য জবাই করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন তুবা। এ্যানিমেল ওয়েলফেয়ারের সদস্য ডা. তাবাসসুম জানান, তিনি বাদী হয়ে মামলা করবেন। ডা. তাবাসসুম বলেন, তার পরিবারের সদস্যদের অনুদানে ওই কুকুরসহ নগরীর বেওয়ারিশ আড়াইশ কুকুরকে খাবার দেয়া হয়। স্থানীয়রা জবাই দেয়া কুকুরটি দেখে তাকে জানিয়েছেন। এ কুকুরটির নাম সেফ। সেফকে জবাই দেওয়ার খবর পেয়ে তিনি তাৎক্ষনিক বাজারে গিয়ে জবাই দেয়া রায়হানকে খুঁজেছেন। কিন্তু তাকে পাননি। ঘটনাস্থলে থাকা মহানগর পুলিশের আলেকান্দা পুলিশ ফাড়ির এএসআই সাবু বিন ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে তারা রায়হানের বাসায় অভিযান করেছেন। তবে তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি জানান, বটতলা বাজারের একটি কসাইয়ের দোকানে কর্মচারী। সে বটতলা এলাকার দিলবাগ গলির বাসিন্দা মিন্টু মোল্লার ছেলে। এদিকে বটতলা বাজারের মাংস বিক্রেতা সাইদ বলেন, রায়হান বাজারের কোন দোকানের কর্মচারীরা নয়। মানসিক ভারসাম্যহীন রায়হান বিভিন্ন সময় পশু-পাখি জবাই করে। ধারাবাহিকতায় বাজারে এসে একটি কুকুর জবাই করেছে। ঠিকমতো জবাই না করায় কুকুরটি নিয়ে যাওয়ার সময় পালিয়ে যায়। সাইদ বলেন, বাসায় নিয়ে কুকুর মাংস কোথায় দেয় কিনা আমরা জানি না। বিষয়টি তদন্ত করে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানিয়ে সাইদ বলেন, এর সাথে বাজারের কোন ব্যবসায়ী জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হোক। তিনি ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনসহ জড়িত রায়হানের শাস্তি দাবি করেছেন।
গণমাধ্যম, দেশজুড়ে, বরিশাল, বরিশাল বিভাগ, মেইন লিড, শিরোনাম, সাব-লিড