আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুই নারী কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রেজিস্ট্রারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে একটি পক্ষ। একই সঙ্গে এই ঘটনার বিচার দাবিতে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।প্রত্যক্ষদর্শী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও রেজিস্ট্রারের দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন নামে কর্মকর্তাদের একটি সংগঠন রয়েছে। সংগঠনটির সদস্যরা এখন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছেন। সম্প্রতি একটি পক্ষ পাস্ট ডিরেক্ট রিক্রুটেড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন নামে নতুন একটি সংগঠন তৈরি করেছে। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। সকাল সোয়া আটটার দিকে শহীদ মিনারে গিয়ে দুই পক্ষ মুখোমুখি হয়। প্রথমে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। পরে পুষ্পস্তবক নিয়ে শহীদ মিনারের সামনে যান নতুন সংগঠনের কর্মকর্তারা। এ সময় তাঁদের পুষ্পার্ঘ্য অর্পণে বাধা দেন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ঘটনাস্থলে এসে দুই পক্ষকে শান্ত করেন।
নতুন সংগঠন পাস্ট ডিরেক্ট রিক্রুটেড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক জি এম শামসাদ ফকরুলের দাবি, তাঁরা পুষ্পস্তবক নিয়ে শহীদ মিনারের সামনে যাওয়ার পরপরই অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বাধা দেন। তাঁদের পুষ্পস্তবকে থাকা সংগঠনের নামসংবলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন। এরপর দুই নারী কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করেন। তাঁরা ঘটনার বিচার চেয়ে রেজিস্ট্রারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
শামসাদ ফকরুল আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ ধরনের ঘটনা ন্যক্কারজনক। আমরা এর বিচার চাই। বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মবিরতিতে থাকব।