নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এসব আয়োজনের মধ্যে ছিলো জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পুষ্পস্তবক অর্পণ, কুচকাওয়াজ প্রদর্শনী, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সূর্য উঠার সাথে সাথে বরিশাল পুলিশ লাইনসে একত্রিশবার তোপধ্বনি এবং বরিশালের সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর জেলা প্রশাসক কার্যালয় সংলগ্ন শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক, নগরীর ত্রিশ গোডাউন সংলগ্ন বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়াও নগরীর ত্রিশ গোডাউন এলাকায় শহিদ এডিসি কাজী আজিজুল ইসলামের কবর জিয়ারত ও মোনাজাত করা হয়।
শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বরিশাল সিটি মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. তালুকদার মো. ইউনুস, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর ও সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক ও সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির জাহিদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান ও সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহিনসহ নেতাকর্মীরা। এছাড়াও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীমের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, মেরিন একাডেমি, বিএনসিসি, রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কুচকাওয়াজ প্রদর্শনী ও মনোমুগ্ধকর মার্চপাস্টে অংশ নেয়। পরে বরিশালের ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা প্রদর্শন করা হয়। বরিশাল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শওকত আলী। এসময়ে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে ডিআইজি মোঃ জামিল হাসান, পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির, বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলামসহ সরকারি দপ্তরসমূহের কর্মকর্তা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, গণমাধ্যমকর্মী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।