সকাল ৯:১৬ ; বৃহস্পতিবার ; ২৪শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
facebook Youtube google+ twitter
×
সর্বশেষ সংবাদ
  বহাল তবিয়তে দখলকারীরা   বিএমপি কোতোয়ালি মডেল থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত   বহিষ্কারের ছড়াছড়ি এসএসসির দ্বিতীয় দিনে: কারিগরিতে বেশি   পূর্ণ গতিতে এগোতে হবে আমাদের: অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস   মাদক সেবনের টাকা সংগ্রহের জন্য দুই বন্ধু মিলে অপর বন্ধুকে হত্যা করে ডোবার কচুরিপানায় লাশ গোপন   বিএমপি, গোয়েন্দা শাখার অভিযানে ৯০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার।   সমন্বয়কের দখলে উদ্ধার করা জমি   হাসনাত ও সারজিস দুদকে অভিযোগ জমা দিলেন   চায় হেফাজত-এনসিপি আ.লীগের রাজনীতি স্থগিত থাকুক বিচার হওয়া পর্যন্ত   স্বপ্ন পূরণে সবসময় পাশে থেকেছে সেনাবাহিনী জুলাই যোদ্ধাদের : ওয়াকার-উজ-জামান   আর কখনো দিনের ভোট রাতে করতে দেওয়া হবে না : এ্যাটর্নি জেনারেল   বিএনপি কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা   ২৭৫০ মামলা ডিএমপির গত দুইদিনে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন   মায়ের সহযোগীতায় নাবালিকা কন্যা ধর্ষণের শিকার   বান্ধবীর বাবা কর্তৃক ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী ধর্ষণের শিকার   নতুন প্রধান মহিউল ইসলাম ৯৯৯-এর   সবার আগে বলেছে বিএনপি সংস্কারের কথা : মির্জা ফখরুল   চার বছরের শিশু ধর্ষণের ১১ দিন পর মামলার ধর্ষক গ্রেফতার   চাকরিজীবীকে অপহরণ, মুক্তিপণ আদায় বৈষম্যবিরোধী পরিচয়ে বাসায় ঢুকে   দুই ভাইসহ ৪ জন গ্রেপ্তার বরগুনায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে

অবহেলা-নিপীড়নের শিকার না হয় নারী সমাজ : তারেক রহমান

Shongrami Bangla
৪:২৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ৭, ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, শান্তি, নিরাপত্তা, মানবাধিকার এবং টেকসই উন্নয়নে বৈশ্বিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে অপরিহার্য শর্ত হলো নারীর অধিকার। নারী সমাজ যাতে অবহেলা, নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার এবং ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে সবার সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।

শুক্রবার (৭ মার্চ) রাতে নারী দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস একটি অত্যন্ত তাৎপর্যময় দিন। বিশ্বব্যাপী মহিলাদের আর্থিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠা গুরুত্ব পায়। এ দিবসটি নারীর প্রতি সাধারণ সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনে সচেতনতা সৃষ্টি করে।

বাংলাদেশে এ দিবসটির গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। তাই নারী সমাজের অগ্রগতি সাধিত হলে জাতির সামগ্রিক বিকাশ সম্ভব হবে। এ সত্যটি উপলব্ধি করেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে নারীর অধিকতর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। সেটির ধারাবাহিকতায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সরকার এ দেশের নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়নসহ নারী সমাজের অশিক্ষার অন্ধকার ঘুচিয়ে শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের জন্য অনেক কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। তাঁর শাসনামলে প্রাথমিক স্কুলে ভর্তির হার ৯৭ শতাংশে উন্নীত হয়। ছাত্রীকে শিক্ষাবৃত্তির আওতায় আনা হয় এবং স্কুলে ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠিত হয়।

মেয়েদের জন্য দু’টি নতুন ক্যাডেট কলেজ ও তিনটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় চট্টগ্রামে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়। বেগম খালেদা জিয়ার সরকার একটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে এবং উচ্চ শিক্ষা উৎসাহিত করার জন্য ব্যক্তিখাতে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠান অনুমোদন দেয়। যাতে নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগও বৃদ্ধি পায়। দেশের মানুষকে দ্রুততম সময়ে স্বাক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে একট পৃথক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৯৩ সালের ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হয়।

দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে শিক্ষা লাভে আগ্রহী করে তুলতে বেগম খালেদা জিয়া সরকার ১৯৯৩ সালে শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি চালু করে। পল্লী অঞ্চলে মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষা অবৈতনিক করা হয় এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্রীদের জন্য দেশব্যাপী একটি উপবৃত্তি কর্মসূচি চালু করা হয়।

ফলে নারীর ক্ষমতায়ন এবং উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় তাদেরকে সম্পৃক্ত করার কারণে তাদের মধ্যে আত্মপ্রত্যয় জেগে উঠে। একই সঙ্গে তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ খুঁজে পায়। নারীদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পুরুষদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার সমান সুযোগে সমাজের অগ্রগতি ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। বদলে যাওয়া বিশ্বের কর্মপরিবেশে নারীর সরব উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে।

শান্তি, নিরাপত্তা, মানবাধিকার এবং টেকসই উন্নয়নে বৈশ্বিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে অপরিহার্য শর্ত হলো নারীর অধিকার। নারী সমাজ যাতে অবহেলা, নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার এবং ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে সবার সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। বৈশ্বিক কর্মযজ্ঞে নারীর সমতায়ন এখন সর্বপ্রথম এজেন্ডা হওয়া উচিৎ।

আজকের এই শুভ দিনে আমি নারী সমাজের উন্নয়ন ও কল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানাই। এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মূল থিম ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন নারী ও কন্যার উন্নয়ন’ এর সফলতা কামনা করছি।

সামাজিক যোগাযোগে শেয়ার করুন
গণমাধ্যম, দেশজুড়ে, বরিশাল, বরিশাল বিভাগ, মেইন লিড, রাজনীতি, লাইভ ভিডিও, শিরোনাম, সাব-লিড

[addthis tool="addthis_inline_share_toolbox_nev1"]

আপনার মতামত লিখুন :

প্রকাশক ও সম্পাদক

জে এইচ সুমন।

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়

মিথিলা ভবন ১১৫৬, সিএন্ডবি রোড, হাতেম আলী কলেজ, চৌমাথা

( বিআইটিসি ভবন লেভেল-৫ ) বরিশাল।

মোবাইলঃ +8802478864075 , 01787579767, 01312579767

ই-মেইল: shongramibangla@gmail.com
উপরে