বরিশাল বিভাগে প্রতিনিয়ত করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। এ অবস্থায় কোন কোন দিন দক্ষিণাঞ্চলের করোনা ডেডিকেটেড একমাত্র শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৩ শয্যাতেই ঠাঁই মিলছে না রোগীদের।
তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে বরিশাল জেনারেল (সদর) হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডকে এরইমধ্যে ২০ শয্যার করোনা ইউনিটে রূপান্তর করা হয়েছে। যার নীচতলায় করোনায় আক্রান্ত এবং দ্বিতীয় তলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এ ইউনিটকে ১০০ শয্যায় রূপান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বরিশাল বিভাগে জুলাইয়ের শুরু থেকে সংক্রমণ বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। প্রতিদিন ৫০০ জনের ওপরে করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এদিকে বর্তমানে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় সাতটি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।
শুরুতে এসব হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা ছিল ৫২৫টি, কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর অর্থাৎ মে মাসের শুরুতে শয্যা বাড়িয়ে ৬১১ করা হয়। যারমধ্যে শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই ১ শত শয্যা বাড়িয়ে ৩ শতে উন্নীত করা হয়।
এদিকে জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় বলছে, গত শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এ–সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য পাঠানো হয়েছে। সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে বরিশাল জেলা সিভিল সার্জনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা সিভিল সার্জন ও সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, অধিদপ্তরে করা আবেদন গৃহীত হয়েছে বলে আমাকে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে এ–সংক্রান্ত প্রস্তুতি নিতেও নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এখন বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। সেটা হয়ে গেলে আমাদের এ হাসপাতালের ১০০ শয্যার কার্যক্রম চালু করতে সর্বোচ্চ এক সপ্তাহ লাগবে। আর এটা চালু হলে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সুবিধা বাড়বে।
গণমাধ্যম, ঝালকাঠি, দেশজুড়ে, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, বরিশাল, বরিশাল বিভাগ, ভোলা, মেইন লিড, শিরোনাম, সাব-লিড, স্বাস্থ্য