০৪ অক্টোবর ২০২২ খ্রিঃ মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ জনাব চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম-বার, পিপিএম মহোদয়ের সভাপতিত্বে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাগণের সাথে ভার্চুয়ালি এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএমপি কমিশনার জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম, বিপিএম-বার মহোদয় বিএমপি’র সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে উক্ত ভার্চুয়াল সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভার শুরুতেই সভাপতি মহোদয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারবর্গ, জাতীয় চার নেতা ও দেশের জন্য নিজের জীবন আত্মাহুতি দেওয়া সকল শহীদদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের আস্থার প্রতীক। দেশের যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে আমরা সবসময়ই জনগণের পাশে আস্থার প্রতীক হয়ে আছি । ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ কালরাতে রাজারবাগে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের বীর সদস্যরা সর্ব প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। করোনাকালীন মহামারীতে বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা দেশ ও দেশের বাহিরের সর্বমহলে প্রশংসিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ পুলিশ আজ একটি স্মার্ট, প্রযুক্তিনির্ভর ও আধুনিক পুলিশ বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।
আইজিপি মহোদয় এ সময় পুলিশের সামগ্রিক কার্যক্রমের উপর দিক-নির্দেশনা প্রদান করে বলেন, তদন্তের গুণগত মানোন্নয়ন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে। কমিউনিটি পুলিশিং, বিট পুলিশিং কার্যক্রমকে জোরদার করতে হবে। থানা গুলোতে সেবার মান বৃদ্ধি করতে হবে।
সরকারি সকল সংস্থার সাথে একটি সুসমন্বয় রেখে জনগণের পুলিশ হয়ে আমাদেরকে কাজ করে যেতে হবে। অফিসার-ফোর্সের ওয়েলফেয়ার নিশ্চিত করতে হবে। সোসাল প্লাটফর্ম ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদেরকে অবস্যই নীতিমালা মেনে চলতে হবে। ভালো কাজের জন্য পুরস্কার এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজের জন্য কঠোর বিভাগীয় ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দু-একজন খারাপ সদস্যের জন্য পুরো বাহিনীকে কলঙ্কিত করা যাবেনা, এক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স।
উল্লেখ্য যে, এ সময় বিএমপি’র সকল শীর্ষ কর্মকর্তাগণ মাননীয় পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের সাথে উপস্থিত থেকে উক্ত সভায় অংশগ্রহণ করেন।