ভোলায় মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে জেলেদের জালে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। ইলিশ না পেয়ে হতাশা নিয়ে তীরে ফিরছেন জেলেরা। কয়েকদিন আগে ইলিশের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পাঙাশ ধরা পড়ে। এখন পাঙাশও মিলছে না।জেলেরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞার পর নদীতে এক-দুদিন কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পেলেও এখন আর পাওয়া যাচ্ছে না। যে পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ছে তাতে ট্রলারের জ্বালানির খরচই উঠছে না। এ অবস্থায় তারা পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ব্যাংকের হাট এলাকার জেলে নুরে আলম মাঝি, সেলিম মাঝি ও ইয়ামিন মাঝি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা শেষে আমরা নদীতে দুদিন আশানুরূপ ইলিশ পেয়েছি। তিন-চারদিন ভালো পরিমাণ পাঙাশও পেয়েছিলাম। কিন্তু এখন নদীতে ইলিশ ও পাঙাশ কোনোটিই মিলছে না। আমরা জেলেরা এখন কী ধরে খাবো?’তারা আরও জানান, প্রতিদিন জেলেরা দলবেধে নদীতে যাচ্ছেন। তবে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নদীতে জাল ফেলে ২-৪টি করে ছোট সাইজের ইলিশ পাচ্ছেন। তা দিয়ে ট্রলারের জ্বালানির তেল খরচই উঠেছে না। এতে তারা অনেক সমস্যায় রয়েছেন।একই এলাকার জেলে জাকির মাঝি জানান, তার সংসারে সাতজন সদস্য রয়েছেন। প্রতিদিন তিন কেজি চাল লাগে। নদীতে গিয়ে যে ইলিশ পান তা ট্রলারের তেলের দাম দিয়ে চাল কেনার টাকা ঠিকমতো থাকে না। এতে তার পরিবারের তিনবেলা ঠিকমতো খেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।শিবপুর ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের জেলে বিল্লাল মাঝি ও হালিম মাঝি জানান, নিষেধাজ্ঞার সময় ধারদেনা করে সংসার চালিয়েছেন। বর্তমানে নদীতে তেমন ইলিশই মিলছে না। এতে ধারদেনা, কিস্তির টাকা পরিশোধ ও সংসার চালাতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন।কথা হয় শিবপুর ইউনিয়নের ভোলার খালের মৎস্য আড়তদার মো. জাকিরের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘নদীতে তেমন ইলিশ না পাওয়ায় আড়তেও বেচা-বিক্রি নেই। বসে বসে আড়ত ভাড়া ও স্টাফদের বেতন গুনতে হচ্ছে।’তবে ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্ল্যাহ জানান, এখন নদীতে পানির গভীরতা কম থাকায় ইলিশের পরিমাণও কম। বৃষ্টিপাত হলে ইলিশের পরিমাণ বাড়বে।তিনি আরও বলেন, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির দিকে জেলেরা নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরতে পারবেন। কারণ ওই সময় দ্বিতীয় দফায় সাগর থেকে প্রচুর ইলিশ ডিম ছাড়তে নদীতে আসে।
গণমাধ্যম, ঝালকাঠি, দেশজুড়ে, ধর্ম ও জীবন, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, বরিশাল, বরিশাল বিভাগ, ভোলা, মেইন লিড, শিরোনাম, সাব-লিড