আমতলীতে চলছে খাস জমি দখল। যে যেখানে যেভাবে পারছে জমি দখল করছে। দখলকারীরা খাস জমিতে স্থায়ী স্থাপনা নির্মান করছে। পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের বটতলা বাসস্ট্যান্ড সলগ্ন উত্তর পাশে শতাধিক প্রভাবশালী অবৈধ ভাবে ঘর উত্তোলন করেছে। কৃষি ব্যাংক অফিসার মো. মজিবুর রহমানের দখল করা জমি আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার তিনবার উচ্ছেদ করেন। উচ্ছেদের কিছু দিন পরই মজিবর রহমান পুনরায় বেড়া দিয়ে আটকে দেন। বর্তমানে তিনি জমিটি বেড়া দিয়ে আটকে রেখেছেন। মজিবুর রহমান সরকারী আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখি খাস জমি দখল করে যাচ্ছেন। খোজ নিয়ে জানা গেেেছ ও স্থানীয়রা জানান, তিন নম্বর ওয়ার্ডের সাহালোম মিয়া মেয়ে জামাতা বরগুনা আয়কর বিভাগে কর্মরত ধনকুবের মো. আবু ইউছুফ মিয়ার অর্থায়নে খাস জমিতে বহুতল ভবন নির্মান করছেন। সেখানে উপজেলা ভুমি অফিস থেকে কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছে । ভুমি অফিসের নিষেধকে অমান্য করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন শাহ আলম মিয়া । এ ছাড়া পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের খোন্তাকাটা, বাইতুল আমান জামে মসজিদ এলাকায় সাবেক কাউন্সিলর শাহাআলম মিয়ার বাসা সংলগ্ন এলাকায় প্রতিনিয়ত চলছে খাস জমি দখল। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন সরকারের কোটি কোটি টাকার জমি দখল করলেও প্রশাসনের তেমন কোন পদক্ষেপ নেই। অভিযোগ পেলে নামকেওয়াস্তে নিষেধ করা হয়। দু একদিন কাজ বন্ধ থাকে, তারপর আবার কাজ শুরু হয়ে যায়। দখল হয়ে যায় সরকারী জমি। এভাবে আমতলী পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডে প্রতিনিয়ত খাস জমি দখল হয়ে যাচ্ছে।
আমতলী উপজেলা খাস জমি বন্দোবস্ত কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আশরাফুল আলম মুঠোফোনে বলেন, সরকারী সম্পত্তি দখল মুক্ত করার জন্য প্রশাসনিক কাজ চলমান রয়েছে। আইনগত ভাবে সরকারী সম্পত্তি দখল মুক্ত করা হবে।