হিজলা উপজেলায় ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে প্রায় ৬৫ টির অধিক অবৈধ ইটভাটা। এসব ইটভাটায় মানছে না সরকারী কোনো নিয়ম নীতি। মাসিক আইনশৃংখলা মিটিং এ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা ইটভাটা মালিকের বিরুদ্ধে জোড়ালো বক্তব্য দিচ্ছে। চেয়ারম্যানরা অভিযোগ করে বলেন, ইটভাটার মালিকদের একাধিক বার ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইন্সেস করতে বললেও তারা কর্ণপাত করছেন না। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা মনে করেন তাদের পরিষদের ট্রেড লাইন্সেস করলে বৈধতা পাবে এসব অবৈধ ইটভাটা। বরিশাল জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে জানা যায় তাদের দপ্তরে হিজলা উপজেলায় ১৫/২০ টির মত ইটভাটার তালিকা রয়েছে। তাহলে এই উপজেলায় এতোগুলো অবৈধ ইটভাটা কি করে চলে এমন প্রশ্নের উত্তরে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক আবদুল হালিম বলেন, পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়া যে ইট ভাটা গুলো গড়ে উঠেছে সেগুলো অবৈধ। অবৈধ ভাটার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসন যৌথভাবে অভিযানের আশ^াস দেন। একাধিক বার সংবাদ প্রকাশের পরেও কেন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন সংবাদ আমাদের নজড়ে আসে নি। তাছাড়া এ অবৈধ ইটভাটার বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না আমার জানা নেই। উপজেলার কয়েকটি ভাটা ঘুরে দেখা যায় কোনো ভাটায় কয়লার গন্ধ খুজে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় বিভিন্ন প্রজাতির বনায়ন পুড়ে সাবার করে দিচ্ছে। এসব ইটভাটা গুলো মেঘনা নদীর পাড়ে অবস্থিত। তাই ইট তৈরীতে মাটির ঝামেলায় পরতে হয় না। বিনা মূল্যে মেঘনা পাড়ের মাটি কেটে ইট তৈরী করছে। উপজেলায় হাজার হাজার একর কৃষি জমি বিনষ্ট করছে অবৈধ ইটভাটা গড়ে তোলে। এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তার দাবী কৃষি জমির মালিক অভিযোগ করলে প্রয়োনীয় ব্যবস্থা নেবে।
আইন-আদালত, গণমাধ্যম, ঝালকাঠি, দেশজুড়ে, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, বরিশাল, বরিশাল বিভাগ, ভোলা, মেইন লিড, লাইভ ভিডিও, শিরোনাম, সাব-লিড