শিল্পী, কলাকুশলী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিয়ে উৎসবমুখর একটি দিন। ছিলেন কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকরাও। বিশ্ব বেতার দিবসে বরিশাল বেতারের বেতার শান্তি প্রতিপাদ্য নিয়ে বেলুন উড়িয়ে উৎসব র্যালীর উদ্বোধন ও নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন। উদ্বোধনী বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে বিশ্ব বেতার দিবস পালিত হচ্ছে। সারাবিশ্বে বেতার এখনও অন্যতম জনপ্রিয় গণমাধ্যম। বেতারের রয়েছে পৃথিবীর দুর্গম স্থানে পৌঁছানোর শক্তি। তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রসারের ফলে সম্প্রচার জগতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রতিযোগিতাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। গ্রামগঞ্জ ও দুর্গম এলাকায় এখনও বেতার তথ্য আদান-প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যম।
রেডিওর গুরুত্ব কমেনি বরং বেড়েছে উল্লেখ করে বরিশাল বেতার এর আঞ্চলিক পরিচালক কিশোর রঞ্জন মল্লিক বলেন, বেতারের গুরুত্ব আছে বলেই বাংলাদেশে ২৮টি প্রাইভেট এফএম এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও এফএম চলছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ বেতার ১২টি আঞ্চলিক বেতারকেন্দ্র এবং ৩৫টি এফএম পরিচালনা করছে সরকার। বর্তমানে দেশের নানা স্থানে ১২টি আঞ্চলিক কেন্দ্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ বেতার প্রতিদিন ২৭৭ ঘণ্টা ৩০ মিনিট অনুষ্ঠান প্রচার করছে।
বাংলাদেশ বেতারের জন্মকালের সঙ্গে বাংলাদেশের রয়েছে এক ঐতিহাসিক মিল। বাংলাদেশে বেতারের যাত্রা শুরু ১৯৩৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর। এর ঠিক ৩২ বছর পর এ দিনটিতেই চূড়ান্ত বিজয় লাভের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে পরিণত হয় বাংলাদেশ। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ বেতার ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের অপরিহার্য সঙ্গী। বাংলাদেশ বেতার মুক্তিযুদ্ধে দেশের বীর সেনাদের অন্যতম এক অনুপ্রেরণার মাধ্যম। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ঢাকা বেতার কেন্দ্র। যুদ্ধের সময় এটি হয়ে যায় স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র। আর সাফল্যের পর সাফল্যের খবর শুনিয়ে সহজেই কেড়ে নেয় মুক্তিকামী মানুষের মন। মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় ফ্রন্ট নামে খ্যাত ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ ছিল বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের এক বলিষ্ঠ প্রচার কান্ডারি। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত কালজয়ী গান ও অনুষ্ঠানগুলো একদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবলকে শক্তিশালী করেছে, অন্যদিকে দেশের জনগণকে স্বাধীনতার দিকে অনুপ্রাণিত করেছে। কেবল কী তাই, মানুষের জীবনে বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়, মহামারিসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে বেতারের ভূমিকা অপরিসীম।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, ঠাকুরগাঁও, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, বান্দরবন ও কুমিল্লার এই আঞ্চলিক বেতার কেন্দ্র নিয়মিত অনুষ্ঠান প্রচার করছে। তবে বরিশালের ট্রান্সক্রিপশন সার্ভিস খুবই দুর্বল বলে অভিযোগ রয়েছে। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সনাক সভাপতি শাহ সাজেদা, দৈনিক শাহনামা পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, কবি হেনরী স্বপন, সাংবাদিক স্বপন খন্দকার, সাংস্কৃতিক কর্মী আজিজ শাহিন সহ আরো অনেকে। বরিশাল বেতারের উপ আঞ্চলিক পরিচালক মোঃ আনসার উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, খালিদ মাহমুদ, সহকারী পরিচালক অনুষ্ঠান হাসনাইন ইমতিয়াজ, আজাদ রহমান খান, হাওলাদার হারুন অর রশীদ ছাড়াও প্রায় সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী বাংলাদেশ বেতার প্রদত্ত টি-শার্ট ও টুপি পড়ে র্যালীতে অংশ নেন।
গণমাধ্যম, ঝালকাঠি, দেশজুড়ে, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, বরিশাল, বরিশাল বিভাগ, বিনোদন, ভোলা, মেইন লিড, শিরোনাম, সাব-লিড