মেঘনা নদীতে পুলিশের উপরে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় হিজলা থানায় মামলা করেছেন নৌ-পুলিশ কর্মকর্তা। শুক্রবার সন্ধ্যায় মেঘনা নদীর ৭নং ঘাট এলাকায় অবৈধ ভাবে নদীতে ফেলা জাল উত্তোলনের সময় জেলেরা হামলা করে। এতে হিজলা থানার নৌ-পুলিশের ওসি বিকাশ চন্দ্র সহ অন্তত ১৬ জন আহত হয়। এ ঘটনায় নৌ-পুলিশের এস আই বাদী হয়ে অর্ধশত জেলেকে আসামী করে মামলা করেছে। মামলার পর অভিযান চালিয়ে ৮ জেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হুমাউন কবির বলেছেন, এমন ঘটনা মেনে নেয়া যায় না। পুলিশের উপর হামলাকারীরেদ কঠোরহস্তে দমন করা হবে। হামলা কারীদের গ্রেফতারে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। গ্রেপ্তার জেলেরা হলো- হিজলা উপজেলার চর মেমানিয়া গ্রামের মৃত জাবেদ আলী মাঝির ছেলে আ. রাজ্জাক মাঝি (৫৮), একই এলাকার আমির হোসেন দর্জির ছেলে বশির হোসেন দর্জি (১৯), চর কুশরিয়ার জাকির রাঢ়ির ছেলে ইসমাইল রাঢ়ি (১৯) একই এলাকার ইইসুফ সর্দারের ছেলে সাব্বির হোসেন (১৯), গঙ্গাপুরের রাজ্জাক সরদারের ছেলে রাকিব সর্দার (১৯) একই এলাকার আ. রাজ্জাক চৌকিদারের ছেলে পারভেজ চৌকিদার (৫০), হিজলার চরজানপুর এলাকার আ. মন্নান মাতবরের ছেলে শাহীন মাতবর (২১) ও গোসাইরহাটের নান্নুমুন্সীকান্দি এলাকার আজারুল ঢালীর ছেলে রুবেল ঢালী (২৮)।
হিজলা থানার ওসি মো. ইউনুস মিঞা জানান, বেআইনী জনতায় সরকারী কাজে বাঁধা দেয়া ও হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতারিভাবে মারধর করে গুরুতর এবং সাধারন জখমের অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে। মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
গণমাধ্যম, ঝালকাঠি, দেশজুড়ে, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, বরিশাল, বরিশাল বিভাগ, ভোলা, মেইন লিড, শিরোনাম, সাব-লিড