সকাল ৬:২৩ ; শনিবার ; ২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
facebook Youtube google+ twitter
×
সর্বশেষ সংবাদ
  বিএমপি কোতোয়ালি মডেল থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত।   বিএমপি গোয়েন্দা শাখার অভিযানে ০১ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ আটক ০১ জন   নারী-পুরুষের সমান সুযোগ নিশ্চিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ডিজিটাল রূপান্তরে:প্রধান উপদেষ্টা   হাতকড়াসহ মাদক কারবারি পলায়ন, আহত তিন পুলিশ আগৈলঝাড়ায়   ৫০০ গ্রাম হেরোইনসহ ভারতীয় ট্রাক চালক আটক বেনাপোলে   নিবন্ধন স্থগিত আওয়ামী লীগের   দুই ভাই গ্রেফতার বরগুনা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির   ০৭ মে ২০২৫ খ্রিঃ সকাল ১১ টায় বিএমপি’র কাউনিয়া থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হয়।   বরিশাল বিআরটিএ অফিসে অভিযান চালিয়ে এক দালালকে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক   এনআইডি যাচাই সেবা স্থগিত করল ইসি চার মাসে সাত প্রতিষ্ঠানের   কোনো প্রতিষ্ঠানকে ঢালাও তথ্য দেবে না ইসি এনআইডি জালিয়াতি রোধে   বহাল তবিয়তে দখলকারীরা   বিএমপি কোতোয়ালি মডেল থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত   বহিষ্কারের ছড়াছড়ি এসএসসির দ্বিতীয় দিনে: কারিগরিতে বেশি   পূর্ণ গতিতে এগোতে হবে আমাদের: অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস   মাদক সেবনের টাকা সংগ্রহের জন্য দুই বন্ধু মিলে অপর বন্ধুকে হত্যা করে ডোবার কচুরিপানায় লাশ গোপন   বিএমপি, গোয়েন্দা শাখার অভিযানে ৯০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার।   সমন্বয়কের দখলে উদ্ধার করা জমি   হাসনাত ও সারজিস দুদকে অভিযোগ জমা দিলেন   চায় হেফাজত-এনসিপি আ.লীগের রাজনীতি স্থগিত থাকুক বিচার হওয়া পর্যন্ত

মুরগির গিলা-কলিজা-পায়ের দাম বেড়েছে

Shongrami Bangla
৭:১৩ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৬, ২০২৩

গত প্রায় দুই মাস ধরে অস্থিরতা বিরাজ করছে মুরগির বাজারে। কেজিতে প্রায় ১০০ টাকার বেশি বেড়েছে এর দাম।

তাইতো আগের তুলায় চাহিদা বেড়েছে মুরগির গিলা-কলিজা-পায়ের। শুধু চাহিদা বেড়েছে তাই নয়, বরং দুই মাসের ব্যবধানে কেজিতে ৫০-৭০ টাকা দাম বেড়েছে উচ্ছিষ্ট হিসেবে ফেলে দেওয়া মুরগির এ অঙ্গগুলোর।

শনিবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি গিলা-কলিজা বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৮০ টাকা। দুই মাস আগে যার দাম ছিল ১০০-১২০ টাকা। এছাড়া দুই মাস আগে ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া শুধু মুরগির পা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক সময় শুধু নিম্নবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষরা প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে মুরগির এসব অঙ্গগুলো কিনতেন। কিন্তু গত কয়েকমাস ধরে মুরগির আকাশ ছোঁয়া দামের কারণে এখন মধ্যম আয়ের মানুষও মুরগির গিলা-কলিজা-পা কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন। আর চাহিদা বাড়ায় সুযোগ বুঝে এসব পণ্যের দামও বাড়িয়ে দিচ্ছেন বিক্রেতারা।

কারওয়ান বাজারে মুরগির গিলা-কলিজা-পা বিক্রি করা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মূলত হোটেল রেস্টুরেন্টে পাঠানো মুরগি থেকেই এসব গিলা-কলিজা ও পা আসে। কারণ হোটেল ও রেস্টুরেন্টে এসব অঙ্গ রান্না করা হয় না। ফলে মুরগি কেটে হোটেল ও রেস্টুরেন্টে পাঠানোর সময় এসব গিলা কলিজা কিনে রাখেন মুরগি বিক্রেতারা। পরে বেশ কয়েক কেজি জমা হলে সেগুলো তারা খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে দেন। সেসব খুচরা বিক্রেতারাই কারওয়ান বাজার হাঁস-মুরগির বাজারের সামনে বসে এসব গিল-কলিজা-পা বিক্রি করেন।

সুমন নামের এক বিক্রেতা বলেন, আগের তুলনায় চাহিদা বেড়েছে গিলা-কলিজার-পায়ের। দামও কিছুটা বেড়েছে। তবে সেটা মুরগির দাম বাড়ার কারণে। মুরগি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনে আনার কারণে আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

পাইকারী বিক্রেতাদের দোষারোপ করে সুজন নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, আগে ৭০-৮০ টাকায় প্রতি কেজি পা বিক্রি করতে পারতাম। কিন্তু এখন কিনেই আনতে হয় ১০০-১২০ টাকা করে। তাহলে ১৫০ টাকাই তো বিক্রি করতে হবে। গিলা-কলিজার দাম তো আরো বেশি। আগে ১০০-১২০ টাকা কেজি বিক্রি করা গিলা কলিজা এখন বিক্রি করতে হয় ১৫০-১৭০ টাকা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কখনো কখনো চাহিদা বেশি থাকলে ২০০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হয়েছে মুরগির গিলা-কলিজা।

কারওয়ান বাজার হাঁস-মুরগির বাজারের পাইকারী বিক্রেতা মো. জীবন বলেন, আগে ৬০-৭০ টাকায় আমরা গিলা কলিজা বিক্রি করতাম৷ কিন্তু এখন মুরগির দাম বাড়ায় আমাদের ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি করতে হয়৷

আলী আকবর নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, আগে আমরা হোটেল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকো ৬ টাকা দরে প্রতি মুরগির গিলা, কলিজা ও পা কিনে রাখতাম। কিন্তু এখন ১০ টাকা দিয়েও কিনতে পারি না। হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলো বিক্রি করতে চায় না। তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

এদিকে দাম যে কারণেই বাড়ুক বা যারাই বাড়াক ভুগতে হচ্ছে শুধু নিম্ন আয়ের মানুষদেরই। তারপরও প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে মুরগির গিলা-কলিজার-পা বিক্রির দোকানে ছুটছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা।

কারওয়ান বাজারে মুরগির গিলা-কলিজা কিনতে আসা শামসুদ্দিন নামের এক রিক্সা চালক বলেন, দামের কারণে মুরগি তো কিনতেই পারি না। গিলা-কলিজা কিনে একটু মাংসের স্বাদ নিতাম। এখন সেটাও বন্ধ হওয়ার জোগার। আগে যে দামে মুরগি পাওয়া যেতো, এখন সেই দামে গিলা-কলিজাও পাওয়া যাচ্ছে না। কয়দিন পর হয়তো আমাদের না খেয়ে মরতে হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী বলেন, আমি আগে সোনালি কক মুরগি কিনতাম৷ কিন্তু এখন মুরগির যে পরিমাণ দাম বাড়ছে তাতে ব্রয়লারই কিনতে পারি না। তাই বাধ্য হয়ে মুরগির গিলা-কলিজা-পা কিনতে আসছি। আগে লোক-লজ্জার ভয় পেতাম। কিন্তু জিনিসপত্রের যে দাম, এখন আর লোক লজ্জার ভয় করে কি হবে? সবকিছুর দাম বাড়লেও বেতন তো আর বাড়েনি।

সামাজিক যোগাযোগে শেয়ার করুন
গণমাধ্যম, ঝালকাঠি, দেশজুড়ে, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, বরিশাল, বরিশাল বিভাগ, ভোলা, মেইন লিড, শিরোনাম, সাব-লিড

[addthis tool="addthis_inline_share_toolbox_nev1"]

আপনার মতামত লিখুন :

এই বিভাগের আরো সংবাদ

প্রকাশক ও সম্পাদক

জে এইচ সুমন।

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়

মিথিলা ভবন ১১৫৬, সিএন্ডবি রোড, হাতেম আলী কলেজ, চৌমাথা

( বিআইটিসি ভবন লেভেল-৫ ) বরিশাল।

মোবাইলঃ +8802478864075 , 01787579767, 01312579767

ই-মেইল: shongramibangla@gmail.com
উপরে