রমজানের শুরু থেকে আজকে পর্যন্ত হাজারের বেশি এসি বিক্রি হয়েছে বরিশালে। ব্যবসায়ীদের দাবী ধারণাতীত এসির এমন বেচাকেনা হবে এটা আগে জানলে বেশি করে স্টকে রাখতে পারতাম। এখন গ্রাহকদের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ বিভিন্ন কোম্পানি ও এজেন্টরা।
২০ এপ্রিল বরিশালের সদর রোডে সিঙ্গার, স্যামসাং, শার্প, এলজি, বটতলার নবগ্রাম রোডের ভিশন ও বাংলা বাজারের পুলিশ লাইনসের ওয়াল্টনসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ঘুরে জানা গেছে রমজানের প্রথম দিন অর্থাৎ ২৪ মার্চ শুক্রবার বাংলাদেশে রমজান শুরু হয়। রমজানের প্রথমদিকে আবহাওয়া এতোটা উত্তপ্ত ছিলনা বলে জানান পোর্ট রোডের ব্যবসায়ী আমির হোসেন। তিনি বলেন, আমার দোকানে তিনজন ইলেক্ট্রিসিয়ান কাজ করেন। প্রথম ১৫ রোজা অর্থাৎ এপ্রিলের ৭ তারিখ পর্যন্ত সবকিছু স্বাভাবিকই ছিলো। তাই একজন ছুটি নিয়ে আগে ভাগে গ্রামে চলে যেতে চাইলো। আগে থেকেই সদর রোডের কয়েকটি বড় কোম্পানির ফ্যান ও এয়ার কন্ডিশন বা এসি ইনস্টল করে দেয়ার চুক্তি রয়েছে আমাদের সাথে। দুটো ছিলো, ফিটিংস করে চলে যাবে। কিন্তু ওরতো যাওয়া হলোইনা, উল্টো আরো বেশি লোক প্রয়োজন এখন। স্যামসাং, শার্প, এলজি ও ওয়াল্টন লোকবলের অভাবে এখন বাইরে থেকে আমাদের লোক ভাড়া করছে। তবুও দক্ষ লোকের খুব অভাব বলে জানান আমীর হোসেন। ১৯ রমজন থেকে আবহাওয়া গরম এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি শুরু হয়েছে বলে জানান স্যামসাং এর বিক্রয় ব্যবস্থাপক রায়হান। তিনি বলেন এতোটাই ব্যস্ততা বেড়েছে, দেখতেই পাচ্ছেন, দাঁড়িয়ে একটু কথা বলার সময় নেই।
স্কয়ার ইলেক্টনিক্স এর সিনিয়র সেলস এক্সিকিউটিভ গাজী সাকিব ইমরান বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ আগেও আমরা বুঝতে পারিনি এত পরিমাণে এসি সেল হবে। আমাদের শোরুম থেকে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০টি এসি সেল হচ্ছে। মনে হয় যেভাবে টেম্পারেচার বাড়ছে তাতে এসির সেল আরও বাড়বে। আমরা এখন কাস্টমারকে এসি দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। কারণ আমাদের স্টক সীমিত। ৪৮,৯০০ টাকা থেকে শুরু করে ডিজাইনভেদে ৩ লাখ টাকার পর্যন্ত এসি পাওয়া যায় স্কয়ার এখানে।
নবগ্রাম রোড করিম কুটির এলাকায় ওয়াল্টন ডিস্ট্রিবিউটর সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ৪০ হাজার টাকায় এখন এসি পাওয়া যাচ্ছে। এই গরমে যার কাছে ২০ হাজার টাকা আছে, সে আর ২০ হাজার ধার করে হলেও এসি কিনতে চাইবে। আর ওয়ালটন প্লাজার বিক্রেতা মাহবুব জানালেন, গত দশদিনে প্রায় ২০০ এসি বিক্রি হয়েছে তাদের।
ভিশন ডিস্ট্রিবিউটর শহীদ জানান, ভিশন থেকে এই এপ্রিলে ৪০টির মতো ফ্যান বিক্রি করেছেন তারা, এসি স্টক ছিলোনা। তিনি আরো বলেন, এসির যে এতো চাহিদা হবে বুঝতে পারিনি। তাই আগাম সংগ্রহ করতে পারিনি। তবে প্রচুর এসির চাহিদা ছিলো। সিঙ্গার বরিশালের তিনটি শোরুমে গত একসপ্তাহে ২৩৩টি এসি বিক্রি হয়েছে বলে জানালেন বিবির পুকুর পাড় সংলগ্ন শোরুমের ব্যবস্থাপক জুয়েল। তিনি বলেন, গরমে এসির চাহিদা খুবই বেড়েছে। এলজি, স্যামসাং, গ্যালাক্সি এদের চাপ আরো বেশি। তবে তাদের লোকবল সংকট থাকায় গ্রাহকদের এসি দিতে পারলেও ঘরে তা ফিট করে দেয়া নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। আমাদের এই সমস্যা নেই, কারণ পর্যাপ্ত লোকবল রয়েছে বলে জানান জুয়েল।
গণমাধ্যম, ঝালকাঠি, দেশজুড়ে, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, বরিশাল, বরিশাল বিভাগ, ভোলা, মেইন লিড, শিরোনাম, সাব-লিড