আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক চাঞ্চল্যকর রোড ডাকাতির রহস্য উদঘাটিত এবং ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত মালামাল ও নগদ টাকা উদ্ধার || গ্রেফতার ০৩ (তিন) জন
আলমডাঙ্গা থানাধীন রোয়াকুলি মাদ্রাসার সন্নিকটে পাকা রাস্তার উপর অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন ডাকাতদল গত ০৮.০৬.২০২৩ তারিখ রাত অনুমানিক ০৩.৩০ ঘটিকা হতে ০৩.৪৫ ঘটিকার মধ্যে নদীয়া ডিলাক্স, গাড়ি নং- ঢাকা মেট্রো-ব-১১-০০১৯ এবং পূর্বাশা পরিবহন, গাড়ি নং- ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৬০৭৮ হতে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মামলার বাদীসহ অন্যান্য যাত্রীদের নিকট থেকে সর্বমোট অনুমান ৮,৬৯,০০০/- (আট লক্ষ উনসত্তর হাজার) টাকা লুন্ঠন করে নেয়। এ সংক্রান্তে আলমডাঙ্গা থানায় অজ্ঞাতনামা ডাকাতদের বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা রুজু হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব আব্দুল্লাহ্ আল-মামুনের সার্বিক দিক-নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল), চুয়াডাঙ্গা জনাব আনিসুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব বিপ্লব কুমার নাথের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জনাব মোঃ একরামুল হোসাইন, এসআই (নিঃ) শেখ হাদীউজ্জামান, এএসআই (নিঃ) মোঃ মোস্তফা কামাল, এএসআই (নিঃ) মোঃ রাসেল তালুকদার সঙ্গীয় ফোর্সসহ আসামী গ্রেফতার, মামলার মূলরহস্য উদঘাটন ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। আভিযানিক দল ঘটনাস্থল সহ পাশ্ববর্তী বিভিন্ন জায়গায় সোর্স নিয়োগ করতঃ আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সদস্যদের তালিকা প্রস্তুত করে এবং ডিজিটাল সাক্ষ্য সংগ্রহপূর্বক পর্যালোচনা করে।
ঘটনার সাথে জড়িত ডাকাতদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনাকালে ইং ১০-০৬-২০২৩ তারিখ দিবাগত রাত আনুমানিক ০৩:০০ ঘটিকার সময় আসামী মোঃ রনি (২০)-কে তার বসতবাড়ি হতে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করে আলমডাঙ্গা থানাধীন বেলগাছী বোটপাড়া হতে আসামী মোঃ সোহেল (২২) এবং আসামী মোঃ সজিব হেসেন @ ফজা (২৩) দ্বয়কে একই তারিখ রাত আনুমানিক ০৩:৫৫ ঘটিকার সময় গ্রেফতার করা হয়।
ধৃত আসামী মো: রনি, মো: সোহেল এবং সজিব হেসেন @ ফজাদের দেখানো মতে রোড ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত ০২ টি ধারালো হাসুয়া, ০১ টি ধারালো দা, ০১ টি স্বয়ংক্রিয় Chain Saw (করাত) এবং রোড ডাকাতির নগদ ২৫,৩৪২/= (পঁচিশ হাজার তিনশ বিয়াল্লিশ) টাকা উদ্ধার করা হয়। অন্যান্য আসামিদের চিহ্নিত করে আটক করা এবং লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।