বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক গত ১৬ আগস্ট থেকে ১৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে অবস্থান করেছিলেন ঢাকায়। তার পরেও কোতয়ালি মডেল থানায় পুলিশের দায়ের করা একটি মামলায় তাকে ৮ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আব্দুর রাজ্জাক হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফাইয়েড আইডিতে একটি পোস্ট দিয়েছেন। পাশাপাশি ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় তাকে আসামি করায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়েছেন।
বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবন এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সরকারি কাজে বাধাদান, পুলিশের হামলা, তাদের আহত করাসহ বিভিন্ন ধারায় মামলাটি দায়ের করেছেন কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক শাহজালাল মল্লিক।
ওই মামলায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ জেলা ও মাহনগর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগের শীর্ষ নেতাসহ সহযোগী সংগঠনের ৯৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বরিশালটাইমসকে বলেন, ১৬ আগস্ট অসুস্থ স্ত্রী এবং আমি নিজে ডাক্তার দেখাতে ঢাকায় যাই। এরপর স্ত্রীর চিকিৎসা কার্যক্রম নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বেলা ৩টা পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করি। ঢাকায় নিজের এবং স্ত্রীর চিকিৎসা কার্যক্রম চলামান অবস্থায় বুধবার (১৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারি বরিশালে ঝামেলা হচ্ছে এরপর বিভিন্ন মাধ্যমে ঘটনা সম্পর্কে অবগত হই।
পরের দিন বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) চিকিৎসা কার্যক্রম শেষ হওয়ায় ওইদিন বিকেল সাড়ে ৩টার ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে বরিশালে আসি। যার বোডিং পাসের কাগজও আমার কাছে রয়েছে। বরিশালে এসে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস ভাইয়ের কাছ থেকে জানতে পারি পুলিশের দায়ের করা মামলার ৮ নম্বর আসামি আমি।
মামলায় আসামি হওয়ায় হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন বরিশালে না থেকে কিভাবে আমি পুলিশের ওপরে হামলা করলাম এবং মামলার আসামি হলাম। এ দিয়েই প্রমাণিত হয় সেদিন যে ঘটনা ঘটেছে আমার নেতা বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বিরুদ্ধে যে মামলাটি করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা।
তিনি আরও বলেন, আমি দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ১/১১ তে প্রধানমন্ত্রীর মিছিলে শামিল হওয়ার অপরাধে অভিযুক্ত করে আমাকে গ্রেপ্তার করে। আমি আমার বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও তুলে ধরেছি, আমি এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের অভিযোগ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান
দৈনিক সংগ্রামী বাংলাকে বলেন, মামলা দায়ের করা মানে একটি অভিযোগ করা। সেখানে যে কাউকেই অভিযুক্ত করা হতে পারে। যেহেতেু মামলাটির তদন্ত চলছে তাই রাজ্জাকের অভিযোগ সত্য কি না মিথ্যা তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তদন্তে তার করা অভিযোগ সত্য হলে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।
গণমাধ্যম, ঝালকাঠি, দেশজুড়ে, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, বরিশাল, বরিশাল বিভাগ, ভোলা, মেইন লিড, শিরোনাম, সাব-লিড