২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জুলাই গণহত্যার বিচারের রূপরেখা ঘোষণা না করলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। এই সময়ের মধ্যে রূপরেখা ঘোষণা না করলে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে তারা।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে আজ রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে মিছিল বের করে ইনকিলাব মঞ্চ। মিছিলটি শিক্ষা চত্বরে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এই দাবি জানায় তারা।
এর আগে আজ বেলা দুইটা থেকেই পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হতে থাকেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা–কর্মীরা। বেলা আড়াইটার দিকে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। সেখানে তাঁরা চার দফা দাবি জানান।
ইনকিলাব মঞ্চের দাবিগুলো হলো জুলাই গণহত্যার বিচারের ব্যর্থতার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ করা ও ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের পরিপূর্ণ রূপরেখা সরকারকে প্রকাশ করতে হবে, সব ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের দোসরদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করা, চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর যেসব কর্মকর্তা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পালাতে সাহায্য করেছে ও প্রতিবাদী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করেছে অবিলম্বে তাদের বিচারের আওতায় আনা এবং যেসব আমলা ও সামরিক কর্মকর্তা গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনে মদদ দিচ্ছে, অনতিবিলম্বে তাদের শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
সমাবেশ শেষে বেলা পৌনে তিনটার দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে দোয়েল চত্বর হয়ে শিক্ষা চত্বরে গেলে পুলিশ বিক্ষোভাকারীদের বাধা দেয়। পরে সেখানে তাঁরা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত অবস্থান নিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জুলাই গণহত্যার বিচারের রূপরেখা ঘোষণার আলটিমেটাম দেন। আধা ঘণ্টার মতো সেখানে অবস্থান নিয়ে তাঁরা স্থান ত্যাগ করেন।