অসীম কুমার বিশ্বাস
ঝিনাইদহ ব্যুরো চিফ
বাড়িতে একা পেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর এক ছাত্রীর ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। এই ধর্ষনের ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন উক্ত এলাকার গ্রাম্য মাতব্বর সাজ্জাদ মন্ডল ও হেলাল প্রফেসর তারা এই দুই জন তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে ভুক্তভোগীর পরিবারের মধ্যে মিমাংসার চেষ্টা করে। তিন লক্ষ টাকার মধ্যে দেড় লক্ষ টাকা সাজ্জাদ মন্ডল ও হেলাল প্রফেসর ও ভুক্তভোগীর পরিবারের লোকজন টাকা ভাগাভাগি নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গ্রামের লোকজন ধর্ষনের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর উৎসুক গ্রামবাসী মিছিল বের করে জনমত গড়ে তুললে ধর্ষনের ঘটনাটি আর ধামাচাপা দিতে পারেনি। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ শৈলকুপা উপজেলার দেবতলা গ্রামে অভিযুক্ত রিপন কাজি ঐ গ্রামের আহাতাব কাজির ছেলে সম্পর্কে তিনি ঐ ছাত্রীর চাচাতো ভাই। ভুক্তভোগীর পিতা জানান, অভিযুক্ত রিপনের মেয়ের সাথে একই স্কুলে পড়াশোনা করে ভুক্তভোগী।
যে কারণে প্রায় সময় ঐ ছাত্রী রিপন কাজির বাড়িতে আসা যাওয়া করতে। ঘটনার দিন ছাত্রী ঐ বাড়িতে গেলে কেউ না থাকার সুযোগে ঘরে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতনের পর ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, সে ঘটনাটি তার বড় বোনকে জানায়। লোক লজ্জার ভয়ে পরিবার প্রথমে বিষয়টি চেপে যাওয়ার চেষ্টা করলে ও মেয়েটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করান। এ বিষয়ে অভিযুক্ত রিপন কাজির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। তবে তার স্ত্রী শারমিন খাতুন বলেন, আমার স্বামীর প্রতি আমার অঘাত বিশ্বাস আছে তিনি কখনো এমন কাজ করতে পারে না। আমার স্বামী এমন ঘটনার সাথে জড়িত নয়।
শত্রুতা করে তার স্বামীর উপর এমন অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে, প্রয়োজনে ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করব। এই ঘটনায় স্থানীয়রা তীব্র সমালোচনা করে অভিযুক্ত রিপন কাজিসহ গ্রাম্য মাতব্বর সাজ্জাদ মন্ডল ও হেলাল প্রফেসরকে টাকা খেয়ে ধর্ষনের ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার অপরাধে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন এবং তারা আরো জানান, পাশ্ববর্তী জেলা মাগুরাতে আছিয়া ধর্ষন মামলার থেকে দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করে বিচার করা হোক। শৈলকুপা থানার তদন্ত কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ জানান, সংসিলিষ্ঠ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত রিপন কাজিকে গ্রেফতার করতে অভিযান চলমান। অপরদিকে এই ঘটনা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। উত্তেজিত গ্রামবাসীরা রিপন কাজি সহ সাজ্জাদ মন্ডল ও হেলাল প্রফেসরকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ করে। সেসময় রিপন কাজির বাড়িতে হামলার চেষ্টা করে গ্রামবাসীরা তখন পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু প্রশাসনের আশংকা যে কোন মুহুর্তে পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে আকার ধারণ করতে পারে তাই আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
আইন-আদালত, গণমাধ্যম, দেশজুড়ে, বরিশাল বিভাগ, মেইন লিড, শিরোনাম, সাব-লিড