জুলাই–আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
রায় ঘোষণার পর এখন দুইজনের মৃত্যুদণ্ড দ্রুত কার্যকর হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও সংশ্লিষ্টরা।
রায় ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় শহীদ আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা এ রায়ে খুশি। তবে রায় যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”
অন্যদিকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এক বার্তায় জানান, শেখ হাসিনার দণ্ড কার্যকরের জন্য তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও রায়ের পর ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দু’জনকে দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য। একইসঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম রায় ঘোষণার পর এক মাসের মধ্যে দণ্ড কার্যকর করার দাবি জানান।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর তিনটার দিকে ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ রায় ঘোষণা করেন। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
একই মামলায় আসামি থেকে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হওয়া পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আইন-আদালত, গণমাধ্যম, দেশজুড়ে, বরিশাল বিভাগ, মেইন লিড, রাজনীতি, লাইভ ভিডিও, শিরোনাম, সাব-লিড






