কাজী মাসুম
রাজধানী খিলখেত থানার অফিসার ইনচার্জ সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে বিশেষ করে থানায় আসা বিভিন্ন ভুক্তভোগী ওসি সাহেবের কাছে আসলে কারো সমস্যা সমাধান না করে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পেঁচিয়ে কথা বলিয়া তাকে হয়রানি করা বারবার সময় দেয়া তার অন্যতম স্বভাব। এমনকি সাংবাদিক নির্যাতন,ধর্ষণ, কিংবা বড় ধরনের কোন ঘটনা ঘটলেও এসব বিষয় নিয়েও তার কাছে আসলে তিনি কোন সমাধান না করিয়া মামলা না নিয়ে দিনের পর দিন তাকে ঘোরানো তার কাজ।
থানার কর্তব্যরত একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংবাদের প্রতিপাদককে জানান তিনি বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীর নিকট থেকে সানগ্লাস দামি চশমা সহ অনেক কিছু গিফট নিয়ে তাদেরকে এক প্রকারের অবৈধ ব্যবসা করার মৌখিক লাইসেন্স দিয়েছে বলে জানা যায়। এ বিষয়ে কথা হয় খিলখেত থানায় আসা দৈনিক গগনের আলো পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ভুক্তিভোগী সাংবাদিক হাফিজুর রহমানের সাথে, তিনি জানান গত ৩/১২/ ২০২৫ ইংরেজি আমি খিলক্ষেত কাঁচা বাজার ৬৩ নং পিলারের পাশে আকবর হোসেন রাজিবের অস্থায়ী চায়ের দোকানে বসে ছিলাম, ওই ওই মুহূর্তে সেখানে একটি মেয়েকে কান্না করতে দেখে সাংবাদিক হিসেবে আমি তার কাছে জানতে চাই আপনি কান্না করছেন কেন, সে আমাকে জানায় আমার নাম আয়শা আমি ইয়ানোও ফ্যাশন নামক একটি গার্মেন্টসে চাকরি করি গার্মেন্টসের মালিক মিজানুর রহমান আমার বেতন দেয় না, এই কথা আমি হাবিব সরকার স্বাধীন নামে একজনকে জানালে সে নিজেকে একটি ভুয়া খিলক্ষেত প্রেসক্লাবের সভাপতি পরিচয় দেয় আমি যা জানতাম না আমার কাছ থেকে সব জেনে সে আমার অবর্তমানে গার্মেন্টসে যেয়ে ভয় দেখিয়ে আমার বেতনের টাকাটি হাতিয়ে নেয়। এমনকি গার্মেন্টসে আমার স্বাক্ষরের জায়গায় সে স্বাক্ষর করে দেয়। আমি আজকে প্রায় পাঁচ মাস যাবত ঘুরতেছি স্বাধীনের নিকট থেকে আমার টাকাটা ফেরত পাচ্ছিনা। বিভিন্ন লোকজনের কাছে এবং বিএনপির বিভিন্ন নেতাদের শরণাপন্ন হলে তারা জানায় স্বাধীন কে কেন এ কথা বলেছেন স্বাধীন নিজেই তো একজন মাদক ব্যবসায়ী তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় প্রায় সাত আটটি মাদকসহ ধর্ষনের মামলা রয়েছে। এই কথা আমি জানার পর তাকে আমি পরামর্শ দেই আপনি খিলখেত থানায় একটি অভিযোগ দেন।
মহিলাটি আমার কথা শুনে খিলখেত থানায় অভিযোগ দেয়। এই পরামর্শ দেওয়াই যেন আমার জীবনের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীরা জানতে পারে এই মহিলা আমার সাথে কথা বলেছিল তার সূত্র ধরে আমাকে খিলখেত বাজার ৬৩ নং পিলারের পাশে পেয়ে হাবিব সরকার স্বাধীন আরমান এবং তাদের সহযোগী সাদ্দাম সহ আরো অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজন আমার উপরে হামলা করে এবং সকলে আমাকে রড দিয়ে এলপাথারি পিটাইতে থাকে এবং কিল ঘুষি দিয়ে আমাকে রক্তাক্ত করে আহত করে ফেলে চলে যায় । পথচারী এবং আশেপাশের লোকজন আমাকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা হাসপাতালে পাঠায় আমি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে খিলক্ষেত থানায় আসি মামলা দেওয়ার জন্য। খিলক্ষেত থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন সব কথা শুনিয়া আমার রক্তাক্ত অবস্থা দেখিয়া থানায় মামলাটি লেখবার জন্য নির্দেশ দিলে থানা কর্তৃপক্ষ আমার মামলা লেখে, কিন্তু মামলা লিখার পরেও ৩-৪ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও মামলাটি গ্রহণ করেনা। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি হাবিব সরকার স্বাধীনসহ তার সন্ত্রাসীচক্রের সাথে ওসি সাজ্জাদ হোসেনের নিবিড় সম্পর্ক। মাঝে মাঝে হাবিব সরকার স্বাধীন তাকে সানগ্লাস চশমা সহ বিভিন্ন দামি উপহার দিয়ে থাকে। যে কারণে সে আমাকে দিনের পর দিন ঘুরাইতে থাকে কিন্তু মামলা গ্রহণ করেনা। নিরুপায় হয়ে আমি বিষয়টি ডিএমপি কমিশনার মহোদয় স্যার কে জানালে, স্যার আমার সব কথা শুনিয়া এবং আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মেরে ফেলার ভিডিও ফুটেজ তাহার মোবাইলে পাঠাইলে সে বিষয়টি দেখিয়া সাথে সাথে গুলশান জোনের উপ পুলিশ কমিশনার কে ফোন করে আমার বিষয় সম্পর্কে অবগত করলে, আমি উপ পুলিশ কমিশনার কে ফোন দিলে তিনি আমাকে থানায় যেতে বলেন, আমি থানায় এসে পুনরায় ওসি মহোদয়ের সাথে দেখা করি কিন্তু তিনি আমাকে আবার নতুন করে অভিযোগ লিখে আনতে বলে প্রথমে বলে বাহির থেকে লিখে নিয়ে আসেন পরবর্তীতে সকলের অনুরোধে তিনি থানায় অভিযোগ লিখতে আদেশ দেন, যিনি অভিযোগটি লেখেন থানার রাইটার সম্ভবত বাড়ি দক্ষিণ বঙ্গের কোথাও হবে। তার ব্যবহার ছিল এতটাই জঘন্য এবং তার মুখের কর্কশ ভাষা ছিল এতটাই খারাপ আমি প্রতি মুহূর্ত হতবাক হচ্ছিলাম এখানে মানুষ আসে তাদের বিভিন্ন বিপদ সমস্যা নিয়ে কিন্তু এসব মানুষের পাল্লায় পড়লে যে কোন মানুষ যে কোন মুহূর্তে হার্ট এটাক করে মারা যাবে।
যে ফ্যাসিস্ট সরকারের এক সময় গোলামী করেছিল পুলিশ বাহিনী ৫ ই আগস্টের পর তারা নাকি সংস্কার হয়েছে কিন্তু এদের ব্যবহার দেখে মনে হয় শেখ হাসিনা দেশ থেকে চলে গেলেও তার প্রেতাত্মা বাস করে এসব পুলিশের অন্তরে। যেভাবেই হোক উত্তম ধৈর্য ধারণ করে এই পাষাণ হৃদয়ের রাইটারের নিকট থেকে কোনভাবে আমার অভিযোগটি লিখিয়ে পুনরায় আবার ওসি মহোদয়ের শরণাপন্ন হলাম এবার ওসি মহোদয় আমার বিভিন্ন ইন্টারভিউ নেয়া শুরু করলো কেন আপনাকে মারল কিভাবে আপনাকে মারল কেন মানুষের উপকার করতে গেলেন ইত্যাদি ইত্যাদি বিভিন্ন রকম কথাবার্তা যার কোন শেষ নাই। অতঃপর তিনি আমাকে জানাইলেন বিভিন্ন উপর মহল থেকে ফোন দিলেই আপনি ভাইবেন না আপনার মামলা হয়ে যাবে, আমি আগামীকালকে পোস্টিং হয়ে চলে যাচ্ছি কাফরুল থানায় নতুন যে ওসি আসবে সে আপনার মামলা এন্ট্রি করবে, সেখানে ওই মুহূর্তে উপস্থিত ছিলেন খিলখেত থানার ওসি তদন্ত আশিক সাহেব সহ বেশ কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সাংবাদিক মহল। আমাদের উপস্থিতিতে বেশ কিছু ভুক্তভোগী থানায় এসে ওসি সাহেবের রুমে তাদের সমস্যা জানায় কাউকে তিনি ধমক দেন কাউকে চোখ রাঙান কেন সমস্যা নিয়ে তার কাছে আসছে এর মধ্যে একজন মহিলা সে এসেছে তার বাড়ি চুরি হয়েছে বাড়ির সবকিছু নিয়ে গেছে ।
চোর নাকি খিলক্ষেত এলাকার কোথাও থাকে সে কেন আসছে তাকেই বলতেছে চোর খুঁজে বের করতে এসব নিয়ে মহিলার কান্নাকাটি এই হচ্ছে খিলক্ষেত থানায় মানবসেবার নামে অফিসার ইনচার্জ সাজ্জাদ হোসেন এর আমলে খিলক্ষেত থানার আমলনামা । খিলখেত ফুটওভার ব্রিজের আশেপাশে বসা অবৈধ দোকান খিলখেত বাজারের নামে ব্যাঙের ছাতার মত শতশত দোকান থেকে প্রতিদিন চাঁদাবাজরা লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা তোলে অন্যদিকে রয়েছে অটো রিক্সার চাঁদাবাজি সহ বিশাল চাঁদাবাজির হাট এসব জায়গা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আসে খিলক্ষেত থানার নামে। সাজ্জাদ হোসেনের আমলে একদিনের জন্য কোনদিন এসব অবৈধ দোকানপাট বন্ধ ছিল না এবং আরো বেশি রমরমা হয়ে চলেছে সবকিছু মিলিয়ে বোঝা যাচ্ছে যে কয়টি মাস তিনি এই থানায় ছিলেন তার বাজার ছিল চাঙ্গা। এ বিষয়ে নিয়ে সংবাদের প্রতিবেদকের সাথে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চাঁদাবাজি এর সাথে কথা হয় চাঁদাবাজ জানায় যত ওসি খিলক্ষেত থানায় এসেছে ভাই এই ওসি সাজ্জাদ হোসেন ছিল সবচাইতে ভালো প্রতিটা দিনই যেন আমাদের ঈদের দিন যত চাঁদাবাজি করেছি আর থানায় টাকা পাঠিয়েছি কোনদিন আমাদেরকে ডিস্টার্ব করে নাই। ৫ ই আগস্টের পর খিলক্ষেত এলাকায় যত চুরি ডাকাতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি হয়েছে ওসি সাজ্জাদ হোসেন থাকাকালীন সময়ে কিন্তু এ বিষয়ে কখনো কোন মামলা তিনি গ্রহণ করেন নাই অন্যদিকে মামলা নিয়ে গেলে আরো হয়রানি করেছেন কেন মামলা দিবেন কেন ঘর খোলা রেখে ঘুমান ইত্যাদি ভুয়া উপদেশমূলক কথা দিয়ে ঘুড়ানোই হলো তার কাজ । এ বিষয় নিয়ে ভুক্তভোগী সাইফুল বোর্ডগাড মসজিদের সামনে থাকে তিনি জানান আমার দোকান থেকে ১৫-১৬ লক্ষ টাকার মালামাল চুরি হয়ে গেছে আমি ভিডিও ফুটেজ পর্যন্ত বের করেছি কিন্তু দিনের পর দিন ঘুরেছি থানা কর্তৃপক্ষ ওসি সাজ্জাদ হোসেন আমার মামলাটি নেয়নি । এই ভুক্তভোগী আরো জানায় শুনেছি এই ওসি নাকি খিলক্ষেত থানা থেকে ট্রান্সফার হয়ে কাফরুল থানায় যাচ্ছে আমার বিশ্বাস কাফরুল থানার এলাকার ভাগ্যআকাশে এবার কালো মেঘ নেমে আসবে। সাধারণ মানুষ তো বিচার পাবেই না অন্যদিকে অপরাধীদের অভয়ারণ্য আরো বেড়ে যাবে শুনেছি ইতিমধ্যে কাফরুল থানার বিভিন্ন অপরাধীরা তাকে রিসিপশন দেওয়ার জন্য ফুল দিয়ে বরণ করার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা করে রেখেছে।
অবশেষে খিলক্ষেত এলাকার স্থানীয় সাংবাদিক ও সাংবাদিক সংগঠনের চাপে পড়ে মামলা নিতে বাধ্য হয়।
আইন-আদালত, গণমাধ্যম, দেশজুড়ে, বরিশাল বিভাগ, মেইন লিড, লাইভ ভিডিও, শিরোনাম, সাব-লিড, স্বাস্থ্য






